‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ শ্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার আয়োজনে ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় পর্যায়ে পাঁচদিনব্যাপী প্রথম জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসব। ৫ দিনের এ উৎসবে প্রতিদিন তিনটি নৃত্যনাট্য মঞ্চায়িত হবে। প্রতিটি নৃত্যনাট্য মঞ্চায়নের পর পরিবেশিত নৃত্যনাট্যের পরিচালক ও শিল্পীরা মুখোমুখি হবে বিশিষ্ট নৃত্য ও নাট্য ব্যক্তিত্বের প্রশ্নোত্তর পর্বে। ১৫ মিনিটের এ প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্যেই পরবর্তী মঞ্চায়নের লাইটিং ও সেট তৈরি সম্পন্ন করা হবে।

গতকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আসাদুজ্জামান নূর, এমপি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, এনডিসি ও নৃত্যগুরুমাতা রাহিজা খানম ঝুনু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মীনু হক এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ।

আগামি ৩১ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এক গোল টেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। গোল টেবিল আলোচনায় নৃত্যনাট্য সম্পর্কিত বিষয়ে মীনা মোঃ নজরুল ইসলামের একটি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। 

উদ্বোধনী দিনে  ফারজানা চৌধুরী বেবীর নৃত্য পরিচালনায় নৃত্যনাট্য “হাজার তারের বীণা, নৃত্য ও নাট্য বিশেষজ্ঞের সাথে নৃত্য পরিচালকের মত বিনিময় এবং মাকসুদুল আলম মিল্টন এর নৃত্য পরিচালনায় নৃত্যনাট্য “মহুয়া, পরিবেশিত হয়। ২৮ জানুয়ারি পরিবেশিত হবে এনামুল হক এর নৃত্য পরিচালনায় নৃত্যনাট্য “রঙিলা নায়ের মাঝি”, নৃত্য ও নাট্য বিশেষজ্ঞের সাথে নৃত্য পরিচালকের মত বিনিময়, বেলায়েত হোসেন খান এর নৃত্য পরিচালনায় নৃত্যনাট্য “সামান্য ক্ষতি”, ফাতেমা কাশেম এর নৃত্য পরিচালনায় নৃত্যনাট্য “গুনাই বিবি” পরিবেশিত হবে।