মহাপ্রাণ-ধ্বনির সংকট
বেদনার নীল বিষে ভরিয়ে রেখেছি আমি আমার পেয়ালা;
তুমি এসে ওষ্ঠে তুলে দাও।
ম-বর্ণশোভিত বুকে ধারণ করেছি দেখো বিষের মুকুট;
বয়সী বটের মতো ভূতগ্রস্ত অন্ধকারে একা-একা দাঁড়িয়ে রয়েছি।
প্রার্থনা মঞ্জুর করে না আজো পৃথিবীতে কোনো পুরোহিত!
বর্ণের সুষমা চায় যৌবনের দূত।
কোমল বর্ণ চায় মজবুত শরীরের উদ্দাম প্রশ্রয়।
তার কাছে স্বরবর্ণের প্রথম অক্ষরের কোনো মূল্য নেই!
সে কেবল প্রত্যাখ্যান ছুড়ে দিয়ে প্রথাগত শিকড়ের আকাঙ্ক্ষায় সময় কাটায়।
মেহেদি-রাঙানো হাতে হাত রেখে ব্যাঙ্গাত্মক
হ্রস্ব-ই-কারের বদলে দীর্ঘ-ঈ-কারই শুধু প্রত্যাশিত তার!
প্রতারক স্মৃতিজলে ভেজানো সর্বাঙ্গ আজো মুগ্ধ করে তাকে!
প্রণয় বয়স মানে? আলিঙ্গন মৌলিক আনন্দের উৎস বলে
একাকী প্রবীণ বট শব্দের উৎসমূল খুঁজে পেতে
আশ্রয় খুঁজে ফেরে রবি ও খানের লেখা ‘বঙ্গীয় শব্দার্থকোষে’।
১৯৩০-এর অভিধান-সংস্কারে সৃষ্টিশীল ঠাকুরের হস্তক্ষেপে
সকল সংকট কাটে – কেবল কাটে না আজো মহাপ্রাণ ধ্বনির প্রলয়!
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।