‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কুষ্ঠ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করুন’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ ২৫ জানুয়ারী রোববার শেরপুরে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস-২০১৫ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা  সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও ডেমিয়েন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এসব কর্মসূচীর আয়োজন করে। 

আজ রোববার সকালে শহরের সেবা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 

পরে জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. আনোয়ার হোসেন। এতে বক্তব্য দেন জেলা হাসপাতালের অবেদনবিদ ডা. নিলাদ্রী হোড়, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) ডা. মো. সেলিম মিঞা, ডেমিয়েন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক খালিদুল ইসলাম, কুষ্ঠরোগ চিকিৎসা সহকারি নিখিল চন্দ্র দাস প্রমুখ। 

সভায় ডেমিয়েন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক খালিদুল ইসলাম বলেন, কুষ্ঠ একটি দীর্ঘ মেয়াদী জীবাণুঘটিত মৃদু সংক্রামক রোগ যার ফলে প্রান্তিক স্নায়ু আক্রান্ত হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চামড়ার মাধ্যমে এ রোগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। মানুষকেই কুষ্ঠরোগের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কুষ্ঠরোগের আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থার নাম মাল্টি ড্রাগ থেরাপি। এ ব্যবস্থায় আক্রান্ত রোগিকে একাধিক ওষুধের সমন্বয়ে ছয় মাস থেকে এক বছর চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা গ্রহণ করলে একজন রোগি এ রোগ থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় লাভ করবেন। শেরপুর জেলায় ২০১৪ সালে ১ হাজার ৩০০ জন কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত রোগি সনাক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।পরে বিকেলে জেলা হাসপাতালের সভাকক্ষে জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।