বাগেরহাটে যাত্রীবাহী বাস ভাংচুরের অভিযোগে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের সাড়ে ৪০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা বাস মালিক সমিতির কর্মকর্তা মো. জীবন সিকদার বাদি হয়ে শনিবার রাতে বাগেরহাট মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ওই মামলাটি দায়ের করেন। তবে পুলিশ রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই মামলায় কোন আসামি আটক করতে পারেনি।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আজম খান জানান, মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের ৫৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরো ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা অজ্ঞাতপরিচয়ের। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চলছে বলে ওসি জানান।

ওসি মো. আলী আজম খান আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার মেগনী তলা এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের কয়েশত নেতাকর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে সড়কে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করে। এসময় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও বোমা বর্ষন করে। এসময় বাসের চালক মোহাম্মদ আলী আহত হয়। ওই ঘটনায় বাস মালিক সমিতির পক্ষে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ওই মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেছে।

ওই মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলী রেজা বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান টুটুল, খাদেম নিয়ামুল নাছির আলাপ, জেলা যুবদল সভাপতি মেহেবুবুল হক কিশোর ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম,মঞ্জুরুলহক রাহাদসহ ৫৫ জনের নামউল্লেখ করা হয়েছে।