কালীগঞ্জে বড় ভাইকে না পেয়ে, ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার
বড় ভাই সোহেল রানা অবরোধের সমর্থনে মিছিলে ছিলেন এই অভিযোগে তাঁকে ধরতে বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে ছোট ভাই জুয়েল রানাকে (২০) গ্রেপ্তার করে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী গ্রামে গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জুয়েল রানার মা ফাহিমা খাতুন বলেন, শনিবার রাতে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁর বাড়িতে এসে সোহেল রানার খোঁজ করে। তারা জানায়, সোহেল রানা বিএনপির মিছিলে গিয়েছিল। এরপর পুলিশ ঘরে ঢুকে সোহেলকে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে একপর্যায়ে জুয়েলকে ধরে নিয়ে যায়। রোববার সকালে বিষয়টি পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা বুঝতে চায়নি। দুপুরে জুয়েলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ফাহিমা খাতুন জানান, তাঁর দুই ছেলের মধ্যে সোহেল রানা দু-এক দিন আগে মিছিল-সমাবেশ করেছিলেন। তবে জুয়েল কখনো এগুলো করেন না। আট বছর আগে তাঁদের বাবা (ফাহিমার স্বামী) মারা গেছেন। এর পর থেকে ছেলেরা পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করে সংসার চালিয়েছেন। সোহেল স্নাতক (সম্মান) পর্যন্ত পড়ে কালীগঞ্জ শহরের রেজিস্ট্রি অফিসে এক মুহুরির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। জুয়েলও বিএ পর্যন্ত পড়েছে বর্তমানে বিদ্যুৎ মিস্ত্রির কাজ করেন। দুজনের আয়ে চলে তাঁদের সংসার।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, নাশকতার অভিযোগে জুয়েলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বড় ভাইকে ধরতে গিয়ে ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন কোনো বিষয় তাঁর জানা নেই।
অবরোধের সমর্থনে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলামের নেতৃত্বে শনিবার শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। এরপর রাতে একাধিক নেতা-কর্মীর বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়ে জুয়েল রানাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্য তিনজন হলেন একরাম হোসেন, জাহিদুল ইসলাম ও মুরাদ হোসেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।