নিহত পুলিশের এসআই'র কন্যা ও স্ত্রী প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এস আই আকরাম হোসেনের অর্থ সম্পদ আত্মসাতের চেষ্টাকারীদের নানা ষড়যন্ত্র ও হামলা মামলায় প্রাণভয়ে শিশুকন্যা সহ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন হতভাগ্য স্ত্রী বনানী।
নিহত আকরামের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির শনিবার মাগুরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে বনানী জানান, ঝিনাইদহ জেলা সদরের বাসিন্দা আকরাম হোসেন ছিলেন পিতা মাতার একমাত্র পুত্র এবং তার ৫ বোন রয়েছে। বনানীর বাবার বাড়ীও একই শহরে। ২০০৬ সালে বনানীর সাথে পারিবারিকভাবে এস আই আকরামের বিয়ে হয়। আকরাম জাতিসংর্ঘ মিশনে সাউথ সুদানে চাকরী করেছেন। সেখান থেকে ফিরে ঢাকা মগবাজারে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। ওই ফ্লাটেই স্ত্রী বনানী ও ৭ বছরের কন্যা আনিশাকে নিয়ে আকরাম বসবাস করতেন। এ সময় তিনি ঢাকার সিটি এস বি’তে চাকরী করতেন।
সম্প্রতি আকরাম তার শিশু কন্যা আনিশাকে রেজিষ্ট্রি দান পত্র করে ফ্ল্যাট টি দিয়ে দেন। গত ২৮ ডিসেম্বর মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে তিনি নিজ মোটর সাইকেল যোগে ঢাকা থেকে যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে ঝিনাইদহের বড়দিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্বক আহত হন আকরাম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জানুয়ারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এঘটনায় স্ত্রী বনানী শৈলকুপা থানায় মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ঢাকায় চিকিৎসার সময় উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তৃপক্ষ স্ত্রী বনানীর হাতে একলক্ষ টাকা চিকিৎসা সহায়তা দেন। সেখানে উপস্থিত আকরামের ভগ্নিপতি ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগ নেতা জে.এম রশিদুল আলম তখনই জোরপূর্বক ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেন। আকরামকে অবরোধের মধ্যেই পুলিশের সহযোগিতায় ঝিনাইদহের বাড়ীতে এনে আত্মীয় স্বজনদের পরামর্শে ও উপস্থিতিতে দাফন করা হয়্। এর পর থেকে আকরামের ভগ্নিপতি রশিদুল আলমের নেতৃত্বে ৫ বোন ঢাকার ফ্যাট, ঝিনাইদাহের বাড়ি ও অর্থ কড়ি আত্বসাতের জন্য স্ত্রী বনানী ও বনানীর পিতা মাতা আত্মীয় স্বজনদের মারধোর হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
এ সময় মিথ্যা অপবাদ ও ষড়যন্তমূলক মামলা শুরু করেন। মামা চাচাদের ধরে নিয়ে আটকে রেখে পরে বনানীকে হাজির করে দেয়ার শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়। এ সময় তারা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে বনানী ও তার কন্যাকে খুজতে থাকে। প্রাণ ভয়ে বনানী ঝিনাইদহ থেকে পালিয়ে তার পিতার কর্মস্থল মাগুরার মহম্মাদপুর উপজেলায় গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান -ঝিনাইদাহের শৈলকুপা থানা পুলিশ সড়ক দূর্ঘটানার বিষয় নিশ্চিত হয়েছে। তার পরও চাপ সৃষ্টি ও হয়রানির জন্য বনানী ও তার পিতা মাতা ভাইদের বিরুদ্ধে আকরামের বোন জান্নাতআরা পারভীন মিথ্যা কাল্পনিক খুনের মামলা করেছেন। বনানী তার শিশু কন্যা সহ বনানীর পিতা মাতা ও আত্মীয় স্বজনদের জীবনের নিরাপত্তা চান। শিশু কন্যার ন্যার্য অধিকার চান। এ ব্যাপারে বনানী প্রশাসন ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আকরামের স্ত্রী বনানী শিশু কন্যা আনিশা, শশুর বশির ও খালু শশুর আব্দুল ওয়াদুদ উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে বনানীর বিরুদ্ধে মামলাকারি ননদ জান্নাত আরা পারভীন ফোনে জানান তারা সন্দেহ করছেন যে তার ভাইকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্যই তিনি আদালতে মামলা করেছেন। নিহত আকরামের লাশ ময়না তদন্ত করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে। হয়রানি ও হুমকি ধমকির ঘটনা সত্য নয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।