কুড়িগ্রামে ৪ উপজেলার দায়িত্বে একজন সাব রেজিষ্টার
কুড়িগ্রামে গত এক বছর ধরে একজন সাব রেজিষ্টার দিয়ে চলছে ৪ উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। সপ্তাহে একদিন প্রতিটি উপজেলায় ভুমি রেজিষ্ট্রি করার কথা থাকলেও কোন কোন উপজেলায় ১ মাস থেকে দেড় মাস পরেও রেজিষ্ট্রি হচ্ছে না। ফলে নানা ভোগান্তিতে পড়েছে জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা ও দলিল লেখকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার গোলাম মর্তূজা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় সাব রেজিষ্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছেন।
তারই করা নিয়মানুযায়ী সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার চিলমারী উপজেলায় দলিল রেজিষ্ট্রি হওয়ার কথা থাকলেও গত দেড় মাসেও কোন জমি রেজিষ্ট্রি হয়নি। সাব রেজিষ্ট্রার না আসায় অফিস স্টাফরাও অফিসে আসেন মাঝে মধ্যে। একই অবস্থা রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার।
চিলমারীর নকল নবীশরা জানান, হরতালের কারণে সাব রেজিষ্ট্রার নিয়মিত আসতে পারছেন না। ফলে ঢিলে-ঢালা ভাবে চলছে অফিসের কার্যক্রম।
উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জানান, তারা সকলে হাতপা গুটিয়ে বসে আছেন। অনেকে জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে দিনেরপর দিন প্রহর গুনছেন।
চিলমারী উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস সহকারী শাহাদত হোসেন জানান, প্রায় ১ বছর ধরে গোলাম মর্তুজা চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব রেজিষ্ট্রার গোলাম মর্তুজার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা রেজিষ্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায়, জেলা রেজিষ্ট্রার এমদাদুল হক গত বুধবার বদলী হয়ে দিনাজপুর গেছেন। বর্তমানে পদটি শুন্য আছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।