বাগেরহাট ও মংলায় হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েনি
বাগেরহাটে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল ও অবরোধের কোন প্রভাব পড়েনি। জেলা সদর ও উপজেলা শহরগুলোতেও অবরোধের দিন থেকে শুরু করে হরতালেও দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল প্রকার অফিস খোলা ছিল। রিকশা, ভ্যান ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করছে । অভ্যন্তরীণ রুটে যান চলাচল কিছুটা কম ছিল। তবে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার পরিবহন ছেড়ে যায়নি।
মংলা বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্মে কোন প্রভাব পড়েনি। টানা অবরোধের মধ্যে বুধবার থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বিএনপি’র ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালেও মংলা বন্দরের মালামাল ওঠানামা স্বাভাবিক ছিল ।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, হরতাল ও অবরোধে আমাদের স্বাভাবিক কাজ কর্মে কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৯ তারিখে এ যাবৎকালে মংলা বন্দরে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক জাহাজ এসেছে।
হরতালের সমর্থনে জেলায় কোন মিছিল, পিকেটিং করেনি ২০ দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী মনে করেন, জেলা বিএনপির দূর্বল নেতৃত্বের কারনে বাগেরহাটে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিলও বের করতে পারেনি। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনেক আগেই জেলা ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন। জেলা বিএনপির এক নেতা জানান, খোদ জেলা বিএনপির সভাপতিই অবরোধের আগেই বাগেরহাট ত্যাগ করেছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. ওয়াহিদুজ্জামান দিপু এ প্রতিবেদককে জানান, পুলিশী তান্ডবে ২০ দলের নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি তার বাড়িতেও একাধিক বার পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, অবরোধ এবং হরতালের নাশকতা এড়াতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে। জেলা ও উপজেলাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহল।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।