সাদুল্যাপুরে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা শহর ও বিভিন্ন এলাকায় সালামির নামে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সাদুল্যাপুর উপজেলা শহর ও সাদুল্যাপুর-তুলসীঘাট সড়কে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, শহরের বিভিন্ন দোকানে দোকানে ঘুরে সালামির নামে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। হাতির মাহুত দোকানের সামনে নিয়ে গিয়ে শুড় বাড়িয়ে দিচ্ছেন চাঁদার জন্য। এছাড়া সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারীদের আঁকিয়েও চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
শহরের সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকার কম্পিউটার ব্যবসায়ী পিয়ারুল ইসলাম হুমায়ুন জানান, তার দোকানে এসে সালামির নামে টাকা দাবি করে হাতির মাহুত। সে জন্য হাতির শুড় বাড়িয়ে দেয়। পরে তিনি ১০ টাকা দিলে শুড় নামিয়ে নেয় হাতিটি।
একই কথা জানালেন চৌমাথা মোড়ের ফল ব্যবসায়ী শম্ভু সাহা। তিনি জানান, ১০ টাকা দেওয়ার পর মাহুত সরিয়ে নেয় হাতিটি। টাকা না দিলে হাতি মাহুত না সরিয়ে অবস্থান করে থাকেন দোকানের সামনে।
কলোনি মোড় থেকে বন্দরে আসা পথচারী ও ব্যবসায়ী হারাধন সাহাও হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়েন। কোনো উপায় না দেখে পকেট থেকে পাঁচ টাকা বের করে দিলে হাতি তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে আরও পাঁচ টাকা দিলে পথ ছেড়ে দেয় হাতিটি।
হাতির মাহুত নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জানান, সদর উপজেলার তুলসীঘাট এলাকার আনন্দ মেলায় ‘দি এলিভেন সার্কাস’ দেখাতে এসেছেন তারা। দিনের বেলায় হাতির খাবার জোগাড় করতে বিভিন্ন সড়ক ও এলাকায় ঘুরছেন। তার দাবি এটা চাঁদাবাজি নয়। হাতির খাবারের জন্যই মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করছেন তিনি।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি হাতিটির অবস্থান জানতে চান এবং শিগগিরিই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।