শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে।
“আজকের যুগে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের সম্মান না দিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রকৃত শিক্ষা আশা করা যায় না। তাই শিক্ষকদের ৫০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও পদমর্যাদাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে,” রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ-এর নব নির্মিত একাডেমিক কাম ওয়ার্কশপ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আজ এ ঘোষণা দেন।
টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ-এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক(এডিবি)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: শাহজাহান মিয়া এবং সুইস এজেন্সী ফর ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড কোঅপারেশনের (এসডিসি) ডেপুটি হেড অব কো-অপারেশন সিরোকো মেসেরলি। টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিরাজমান সমস্যা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য শিক্ষকদের তুলনায় কারিগরি শিক্ষকদের বেতন, ভাতা, পদমর্যাদা সবই কম। তাদের পদমর্যাদার বিষয়ে ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য সমস্যা সমাধানেও আমরা কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশের এক তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত শিক্ষা পরিবারকে অবহেলা করে শিক্ষার উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষকদের জন্য সম্মানজনক সুযোগ সুবিধা দিতে সরকার আগ্রহী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের বোঝা মনে হলেও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে একে বিশাল জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পারি। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই নতুন প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষা, জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষকদেরকে আদর্শ ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করাটা এখন আর স্বপ্ন নয়। এটি এখন অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। একটি দক্ষ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলুন। তারাই বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনাদের সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে।
উল্লেখ্য, এডিবি এবং এসডিসি’র সহায়তায় প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়তলা ভিতের ওপর নবনির্মিত চারতলা ভবনটির আয়তন ২০,৮০০ বর্গফুট। এ ভবনে দু’টি সিভিল ও মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ, ৮টি ল্যাব, ৪টি লার্নিং রুম ও একটি হলরুম রয়েছে।
সূত্রঃ বাসস
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।