আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কারণে প্রচণ্ড শীত অনুভুতি হচ্ছে। প্রচণ্ড এই শীতে বৃদ্ধা সকিনা বেগম (৯৫) ও ঘুগরী গ্রামের সাবিকুন নাহার (৮০) নামে জীবননগর উপজেলায় ২ জন মারা গেছে। প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। খুবই দরকার ছাড়া লোকজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। ২০ দলের টানা অবরোধ ও প্রচণ্ড শীতের কারনে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নেই। রবিবার দিনভর চুয়াডাঙ্গায় সুর্যের দেখা মেলেনি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপ মাত্রা ৬.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গা রেকর্ড করা হলেও এত শীত অনুভব করা যায়নি। কিন্তু শনিবার রাতে ঘনকুয়াশা ও হালকা বাতাস থাকায় শীত বেশী অনুভুতি হচ্ছে। কুয়াশা কাটলে এবং বাতাস থামলে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। তখন শীত কম হবে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নির্মল কুমার দে জানান, এ জেলায় শীত জনিত কারনে ফসলের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেই। ক্রমাগত শীতে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু থেমে থেমে শীতের প্রকপ বাড়ার কারনে সেটা হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, রবিবার সকাল থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারনে হাসপাতালের আউট ডোরে প্রায় ২০০ শিশু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে এ জেলার মানুষ মাথা ব্যাথা, শ্বাসনালীর প্রদাহ ও সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন শীত জনিত রোগে ভুগছে।
জীবননগরে তীব্র শীতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের বৃদ্ধা সকিনা বেগম (৯৫) ও ঘুগরী গ্রামের সাবিকুন নাহার (৮০) শনিবার দিবাগত রাতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এদের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া তীব্র শীতের কারণে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু-পাখিও কাবু হয়ে পড়েছে। কনকনে শীতে সন্ধ্যায় বাজার-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। বাজারের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র কেনার জন্য নিম্ম আয়ের ও ছিন্নমুল মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে জেলার প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার শীতার্ত মানুষের মাধ্যে ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ৩৫৬টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং আরো ৭ হাজারটি কম্বলের চাহিদা সরকারের ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১ হাজার ৭০৯টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২ হাজার ৭২২টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ১ হাজার ৬০৩টি ও জীবননগর উপজেলায় ১ হাজার ৩২২টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবেও শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।