দামুড়হুদা সীমান্ত দিয়ে পাচারের এক বছর পর ৪ কিশোর দেশে ফিরল
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে রোববার দুপুরে চার বাংলাদেশি কিশোরকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। পাচারের শিকার হয়ে ভারতে গিয়ে ধরা পড়ে এক বছর বহর রমপুর আনন্দ আশ্রম সেফহোমে ছিল এ চার কিশোর। পাচারের শিকার চার কিশোর হলো- রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার বারীনগর গ্রামের মান্নান শেখের ছেলে সোনারুল শেখ (১৫), একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুল কাদের (১৭), তানোর থানার গাল্লা গ্রামের অধীর রাম দাসের ছেলে রিপন রাম দাস (১৮) ও নওগাঁ জেলার সাপাহার থানার পীর হাপানিয়া গ্রামের মো. মান্নানের ছেলে জুয়েল (১৮)।
জানা যায়, ভারতে ভালো কাজ দেয়ার কথা বলে ২০১৩ সালের জুন ও জুলাই মাসে রাজশাহী ও নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে চার কিশোরকে পাচার করে একটি চক্র। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার পর পাচারকারী চক্রের হাত থেকে ভারতীয় পুলিশ এদের উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতের জন্য বহর রমপুর আনন্দ আশ্রম সেফহোমে পাঠান। সেখানে এক বছর ছিল এ চার কিশোর।
সেফহোমে থাকা অবস্থায় বেসরকারি সংস্থা কলকাতার সিনি বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা ঢাকা আহছানিয়া মিশন’র সাথে যোগাযোগ করে ৪ কিশোরকে তাদের নিজ ঠিকানায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। বেসরকারি সংস্থা ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও কলকাতার সিনি (ঝওঘও)র যৌথ উদ্যোগে দুদেশের সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। অবশেষে রোববার দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আইসিপি চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে এদের হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শফিকুল আলম, দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এস আই মাহবুব, বিএসএফ’র গেঁদে ক্যাম্পের এসআই আর কে বোরাহ, গেঁদে ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ সঞ্জয় গুহ, আহছানিয়া মিশনের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ও ভারতের সিনি’র কর্মকর্তা সুনিদ্রা দাস।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।