- হোম
- >
- শিল্প-সাহিত্য
- >
- সুচিত্রা সেনের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমীর স্মরণ সভা
সুচিত্রা সেনের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমীর স্মরণ সভা
আজ ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের প্রথম প্রয়াণ দিবস। গত বছর মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের আরোগ্য কামনা করে ‘‘ট্রিবিউট টু সুচিত্রা সেন” শিরোনামে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি ২০১৪, ১০দিনব্যাপী সুচিত্রা-উত্তম অভিনীত চলচ্চিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করে। ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ এই মহানায়িকার মহাপ্রয়াণ হলে চলচ্চিত্র উৎসবটি ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত, ১১দিন বর্ধিত করা হয় এবং ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ একটি স্মরণ সভার আয়োজন করা হয় এছাড়াও কিংবদন্তী এই অভিনেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গত ১৮ থেকে ২৬ এপ্রিল ২০১৪, ৯দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের প্রথম মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সুচিত্রা সেন অভিনীত ২টি করে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০১৫, ৩দিন ব্যাপী সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসব এবং ১৭ জানুয়ারি স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ৬টায় স্মরণ সভায় একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহউদ্দিন শাকের এবং একাডেমীর নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক সারা আরা মাহমুদ । ১৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় পরিবেশিত হয় উত্তম সুচিত্রা অভিনীত চলচ্চিত্র “শিল্পী” এবং স্মরণসভা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় পরিবেশিত হয় চলচ্চিত্র “হারানো সুর”। আগামী ১৮ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সন্ধ্যা ৬টায় ‘ওরা থাকে ওধারে’ এবং ১৯ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় ‘সাগরিকা’ ও সন্ধ্যা ৬টায় ‘সাত পাকে বাঁধা’ চলচ্চিত্র পরিবেশিত হবে।
বাংলা লোক সঙ্গীতের অন্যতম প্রধান ধারা ‘ভাওয়াইয়া’ গান। জনপ্রিয় এই ধারাটির বিকাশ অব্যাহত থাকলেও এর যথাযথ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রসারের ক্ষেত্রে গুরুত্বের অভাব ও সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আলোচ্য বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী নানা মূখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ঢাকায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পঞ্চগীতিকবির ভাওয়াইয়া গানের তিন মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলছে শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে।
এ ছাড়া গত ২ জানুয়ারি বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের ৯টি জেলার বাছাইকৃত, ভাওয়াইয়া শিল্পী, যন্ত্রী ও ভাওয়াইয়া সংগঠনগুলো নিয়ে দিনব্যাপী ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন ও সমীক্ষণ অনুষ্ঠিত এবং ভাওয়াইয়া গান সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রসার কর্মসূচি বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয় ভাওয়াইয়া শিল্পী, সংগঠক, আলোচক ও গবেষকদের উপস্থিতিতে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৭ জানুয়ারি ২০১৫, শনিবার বিকেল ৩.০০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে দেশের বিশিষ্ট ভাওয়াইয়া শিল্পী, সংগঠক, আলোচক ও গবেষকদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে“ভাওয়াইয়া গানের সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রসার কর্মসূচি” বিষয়ক ২য় গোলটেবিল বৈঠক।
একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, একাডেমীর প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক শাওকাত ফারুক, শিল্পী নাদিরা বেগম, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ, ইউনেস্কো প্রতিনিধি তাজউদ্দিন, শিল্পী দিজেন্দ্রনাথ বর্মণসহ প্রায় শতাধিক শিল্পী, সংগঠক ও গবেষক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী তালিকাভুক্তির ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৬ জানুয়ারি ২০১৫ বিকেল ৩টা থেকে এবং আজ ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে অনুষ্ঠিত হয় সঙ্গীত, নৃত্য এবং আবৃত্তি ও উপস্থাপনা বিষয়ে অডিশন । সঙ্গীত অডিশনে অংশ নিয়েছেন প্রায় ২৩০জন এবং বিচারক হিসেবে আছেন শিল্পী ফাতেমাতুজ জোহরা, সুবীর নন্দী, খুরশীদ আলম, সালমা আকবর, বুলবুল ইসলাম, এম এ মান্নান, তপন মাহমুদ, নীলোৎপল সাধ্য, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী ও আবু বকর সিদ্দিকি। নৃত্য অডিশনে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় ৫২জন এবং বিচারক হিসেবে আছেন শিল্পী সাজু আহমেদ, তাবাসসুম আহমেদ, শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শামীম আরা নীপা। আবৃত্তি ও উপস্থাপনা অডিশনে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় ৬৫জন এবং বিচারক হিসেবে উপস্থিত আছেন শিল্পী আশরাফুল আলম ও এস এম মোহসীন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।