এনজিওর কর্মকাণ্ড পুরোটা স্বেচ্ছাসেবামূলক নয়: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করতে হলে দারিদ্র দূর করতে হবে। এজন্য তিনি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এলজিইডি মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ভলান্টিয়ার্স এসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশের (ভাব) পনের বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এতে অন্যান্যের মধ্যে ভাবের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিক্ষাবিদ ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, সংস্থার প্রেসিডেন্ট ড. এ টি রফিকুর রহমান, কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. জসিমউজ্জামান ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম এ আলিম খান বক্তব্য রাখেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করতে হবে। তিনি সুশিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর পর, এদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড বিদায় নিয়েছে। আবার এনজিও’র কর্মকাণ্ড পুরোটা স্বেচ্ছাসেবামূলক নয়। তবে দেশে শিক্ষার বিস্তারসহ নানা ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগ বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার প্রয়োজন।
অর্থমন্ত্রী ভাবের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে গর্ভনর ড. আতিউর রহমান বলেন, শিক্ষার জন্য সরকার যে বাজেট নির্ধারণ করে তা দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মান রাতারাতি উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য তিনি বেসরকারি ও ব্যক্তিখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের সকল শিক্ষার্থী যেন আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সম্বলিত গুণমানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়-সেটিই প্রত্যাশা করছি। আর শিক্ষার্থীদের এ সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের, সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এবং আমাদের সকলের।’
গভর্নর বলেন, যে সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষার মান্নোয়নে কাজ করছে, ব্যাংকসমূহ তাদের সিএসআরের একটি অংশ এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করতে পারে। এতে দেশব্যাপী শিক্ষা বিস্তারে তাদেরও সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করা হবে।
অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিএসআর তহবিল থেকে অনুদান হিসেবে ‘ভাব’কে দশ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন।
ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ভাবের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন,‘ দেশে বিজ্ঞাণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কমে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। এজন্য আমরা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞাণ শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, ‘ভলান্টিয়ার্স এসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ’ আমেরিকা প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশী ও তাদের বন্ধু-বান্ধবদের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সংস্থাটি সারাদেশে ১০১টি স্কুলে ১০ হাজার ৪৯৪ জন শিক্ষার্থীকে স্কলারশীপ এবং ষষ্ঠ শ্রেণীর ১০ হাজার ৭৯৮ জন শিক্ষার্থীকে টিউটরিং দিয়েছে। এর বাইরে সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্কুলের লাইব্রেরীতে বই, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, খেলাধুলার সামগ্রী কম্পিউটার এবং কারিগরি শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হচ্ছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।