‘বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ভূমিকা রাখতে চাই’
বাংলাদেশের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এ একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকেরা ভূমিকা রাখতে চায়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়য়ের সহিকারি শিক্ষকবৃন্দ দেশের সকল শ্রেনী, পেশা, ধর্ম, নির্বিশেষে সকল শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার মহান ব্রত নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। দেশে আনাচে কানাচে হাওড়, বাওড় ও প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজম্নকে শিক্ষা দান করে চলছে। কিন্তু বিগত সরকার ২০০৬ সালে ২৯ই আগস্ট এক কালো প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে বেতন এর ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি করে প্রাথমিক শিক্ষাকে ধ্বংসের দাঁর প্রান্তে পৌঁছিয়ে দিয়েছে ।
প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি এইচ বি এম আসাদ্দুজ্জামান বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়গে যে যোগ্যতা দরকার প্রধান শিক্ষক এসসসি পাশ করে সে যোগ্যতা অর্জন করছে। কিন্তু ২৯/৮/২০০৬ তারিখে তৎকালীন সরকার সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল দুই ধাপ নিচে নেমে পরে। এতে শিক্ষকগন মানষিক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরে। গত ৯ই মার্চ ২০১৪ বর্তমান সরকার প্রধান শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণী পদমর্যাদা সহকারী শিক্ষকদের বেতন তিন ধাপ নিচে ১৪ তম গ্রেডে নির্ধারণ করেন। এতে সকল সহকারী শিক্ষক মানিসিক ভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে শ্রেণী কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। তাই সরকারের প্রতি জোড় আহবান আমাদের এই অবস্থার প্রতি দৃষ্টি আরোপ করবেন ।
অন্যদিকে বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রি মোঃ ফারুক খান বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি অবহেলার শিকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বলেছিলেন, “সোনার বাংলা করতে হলে সোনার মানুষ চাই”। আমি মনে করি আপনারাই হচ্ছেন এই সোনার বাংলার কারিগর। আমি যতটুকু সম্ভব সরকারের উপরের মহলকে অবহিত করব।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।