চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে অস্ত্র উদ্ধারের সময় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছে। নিহত ব্যাক্তি জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর গুহিপাড়া গ্রামের মন্টু আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৩০)। এসময় বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এদিকে এঘটনার প্রতিবাদে জেলায় ১৮ ও ১৯ জানুয়ারী হরতাল আহ্বান করেছে জেলা বিএনপি।

আটককৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি রিভালবার, ২টি এলজি বন্দুক, ২টি সুটারগান, ৫ রাউন্ড গুলি, ৩টি ম্যাগজিন, ১৭টি ককটেল, ১০টি পেট্রোল বোমা ও ৫ বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র।

র‌্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোম্পানী কমান্ডার মেজর কামরুজ্জামান পাভেল শুক্রবার সকালে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় শ্যামপুর নারী কল্যাণ স্কুলের নিকট থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় হযরত (১৮) ও শ্যামল (১৮) নামে আরও দুই জনকে আটক হয়। আটককৃত হযরত একই উপজেলার চর চৌধুরী পাড়া গ্রামের তৈয়মুর রহমানের ছেলে ও শ্যামল জহুরপুর এলাকার মূর্খার্জির ছেলে। আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদের শিবগঞ্জের কানসাট এলাকায় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ, ট্রাকে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষযটি স্বীকার করে।

পরে আটক মতিউরকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার সময়( শুক্রবার ভোররাতে) কানসাট বাজার এলাকায় গেলে সেখানে অবস্থানকরা মতিউরের অপর সহযোগীরা র‌্যাবের উপর গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে এবং  আটককৃত মতিউর পালানোর চেষ্টা করে। এসময় উভয় পক্ষের গোলাগোলির মধ্যে পড়ের মতিউর নিহত হয়। মতিউর এর লাশ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লা আল ফারুক কুইজ জানান, নিহত মতিউর রহমান শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিল বলে দাবী করেছেন।এদিকে এঘটনার প্রতিবাদে জেলায় ১৮ ও ১৯ জানুয়ারী হরতাল আহ্বান করেছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান মিয়া শুক্রবার দুপুরে দাবী করেন ,এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১৮ ও ১৯ জানুয়ারী জেলা ব্যাপি ৩৬ ঘন্টা হরতাল আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) ও সাবেক সদর আসনের এম.পি হারুনুর রশিদও হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।