আদিতমারীতে প্রেমিক জেলে, প্রেমিকা হাসপাতালে !
প্রেম পরিনয় বিয়ের দাবিতে অনশনরত আহত প্রেমিকা মুন্নী’র (১৯) অবশেষে ঠাঁই হল লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬নং বেডে।
আহত প্রেমিকা মুন্নী খাতুন ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর মাদরাজ গ্রামের আব্দুল মোতালেবের মেয়ে।
আর প্রেমিক খোরশেদ আলম(২১) লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের কিসামত চন্দ্রপুর এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে।
শুক্রবার সকালে আদিতমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুন্নী খাতুন জানান, মুন্নী ৩বছর ধরে চট্রগ্রামের ইপিজেড এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। প্রেমিক খোরশেদ আলমও ওই এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। সেখানেই পরিচয় হয় প্রেমিক যুগলের।
পরিচয়ের পর মন দেয়া নেয়া, তারপর দৈহিক সম্পর্ক। এরই মাঝে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে প্রেমিকা মুন্নী খাতুন।
প্রেমিকা বিয়ের দাবি তুললে, প্রেমিক খোরশেদের দাবি গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার। কিন্তু মুন্নী সন্তান নষ্ট না করায় পেটে লাথি মেরে তার গর্ভজাত সন্তানকে মেরে ফেলে প্রেমিক খোরশেদ।
এরপর গত বছরের নভেম্বর মাসে চট্রগ্রাম থেকে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি আসে কৌশলী প্রেমিক খোরশেদ আলম। এতেও রক্ষা হলনা তার। অন্য একটি অপহরন মামলায় পুলিশ গত বছরের ২৯ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করে।
এ দিকে বিয়ের দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিকা মুন্নী খাতুন। সেখানে প্রেমিক খোরশেদের মা খুশি, বাবা রুস্তম আলীসহ পরিবারের লোকজন তাকে অমানুষিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেন মুন্নী ।
পরে মুন্নীকে জোরপূর্বক টেনে হেচরে নেয়া হয় ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদের। সেখানে দিনভর বুঝানো হলেও মুন্নীকে নড়াতে পারে নি কেউ।
অবশেষে বিষয়টি আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহুরুল ইসলামকে অবগত করা হলে তিনি মুন্নীকে আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চলছে মুন্নীর চিকিৎসা।
তবে প্রেমিকা মুন্নীর দাবি, সম্ভ্রম গেছে প্রয়োজনে জিবনও উৎসর্গ হবে। বিয়ে ছাড়া বাড়িতে নয়।
এ ব্যাপারে ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত বিদুর বলেন, অভিযুক্ত ছেলে খোরশেদ হাজতে থাকায় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই ইউএনও স্যারের পরামর্শে মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে নিরাপত্তা ও সুস্থতার জন্য হাসপাতালে রেখে তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।