রাস্তার পাশে প্রসাব করাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষে জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহিদ বিন জলিলসহ ২৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সংগঠনের কর্মী নাজির, জহির, ফরহাদ, এহসান, রুস্তুম, সাদিক, বশির, রিয়াজ, লিমন, জুনায়েদ, সিজার, মুর, আশরাফ, ছোটন ও আরাফাতের নাম জানা গেছে।

অন্যদিকে জসীম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মাহমুদ, জিতু, আশরাফুল, আসিফ, কাওসার, তানভীর ও সেজান মাহমুদের নাম জানা গেছে। 

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে প্রায় সোয়া ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, “দুই হলের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪০ জনের মতো আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক শিক্ষার্থী জানান, ইমরান রাত ১২টার দিকে জসীম উদদীন হলে নাস্তা খেতে যান। এসময় প্রস্রাবের চাপ আসলে ওই হলের পাশে দাঁড়িয়ে প্রসাব করতে যান তিনি। ঘটনাটি দেখে জসীম উদদীন হলের ছাত্রলীগ নেতা রানা তাকে সতর্ক করলে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে ইমরানকে মারধর করা হয়।

এর জের ধরে রাত পৌনে ২টা থেকে দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয় হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এ সময় রামদা, চাপাতি নিয়ে নামতে দেখা যায়। চলে ঘণ্টাব্যাপী ইট-পাটকেল নিক্ষেপ।

পরে রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ কয়েক নেতা ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ বলেন, ‘দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। আমরা উপস্থিত থেকে সংঘর্ষ থামিয়েছি।’

 বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এম আমজাদ আলী বলেন, ‘সামান্য ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে দুই হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।পরে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এতে প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত আছে তাদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’