বাগেরহাটের রামপালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাফারা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধু তার নিজের স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। বুধবার গভীর রাতে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে হত্যায় অভিযুক্ত নিহতের স্বামী এনামুল শেখ পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের স্বামী এনামুলের বড় ভাই শেখ বজলুর রহমান (৫৫) কে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত সাফারা বেগম রামপাল উপজেলা সদরের ঝনঝনিয়া গ্রামের জালাল ফকিরের মেয়ে এবং তার স্বামী এনামুল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের সোনাতুনিয়া  গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। 

রামপাল থানার এসআই মো. ইমারত হোসেন জানান, বৃহষ্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত সম্পূর্ণ করে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। নিহতের স্বামী এনামুলের বড় ভাই বজলুর রহমানকে আটক করেছে। 

রামপাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমারত হোসেন বাগেরহাট  জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত একটা ১৫ মিনিটের দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক সুরত হাল রিপোর্টে নিহত গৃহবধু সাফারার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চি‎‎হ্ন পাওয়া গেছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত সম্পূর্ণ করে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। ঘটনার পর থেকে হত্যায় অভিযুক্ত নিহতের স্বামী এনামুল শেখ পলাতক রয়েছেন। তবে আমরা এনামুলের বড় ভাই বজলুর রহমানকে আটক করেছি।তিনি আরো বলেন, নিহতের ছেলে আলী ইমরান পুলিশকে জানায় তাদের বাবা তাদের মাকে প্রায়ই মারধর করতো। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহতের ভাই বেল্লাল হোসেন বলেন, ১৫ বছর আগে তার বোন সাফারার সঙ্গে এনামুল শেখের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হত। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আমার ভগ্নিপতি রান্না ঘরে থাকা কাঠের তৈরি বসার পিঁড়ি দিয়ে আমার বোনকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এসময় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে সাফারা বমি করতে শুরু করে। খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এরপর অনেক রাতে আমার বোনকে মৃত ঘোষনা করে ডাক্তার।