ঘাটাইলে অবৈধ ইট ভাটার কারণে হুমকির মুখে পরিবেশ
ঘাটাইল উপজেলার দৈউলাবাড়ি ইউনিয়নের জনবসতি এলাকায় অন্তত ১০টি অবৈধ ইট ভাটার কালো ধোঁওয়ার কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এর পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল লোকজনের সুনজর পড়ছে না।
জানা যায়, উক্ত এলাকায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্রায় ১০টি ইট ভাটা এর মধ্য দৈউলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব হোসেনের নিজেস্ব ভাটা রয়েছে তিনটি। এই সব ইট ভাটাগুলোর মধ্যে মালিকদের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের বৈধ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। নেই কোন স্থানীয় ভূমি অফিসের অনুমতি। পাশাপাশি ইট ভাটা ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসায়ী বৈধ লাইসেন্স আছে কিনা জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ১০টি ইটভাটা থাকলেও মালিক রয়েছে ৫ জনের মতো। এক ব্যক্তি একটি মাত্র লাইসেন্স দিয়ে ভাটা চালাচ্ছেন ২/৩টি।
সরকারি আইন অনুযায়ী বনাঞ্চল ও জনবসতি এলাকায় ইট ভাটা প্রতিষ্ঠার কোন নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও ইট ভাটা আইনের সকল ধারাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে এই ব্যবসা চালানো সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেনা কেউ। ইট ভাটা আইনে আরো রয়েছে ভাটাগুলোতে কোন প্রকার কাট পুড়াতে পারবে না। তবু কাট পোড়ানো হচ্ছে প্রতিদিন শতশত ঘন ফুট কাঠ। কাঠের পরিবর্তে কয়লা জ্বালানোর সরকারি ও ইট ভাটা আইনে নিয়ম থাকলেও উক্ত নিয়মকে যেন পাত্তাই দিচ্ছে না এলাকার প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকরা। আর মানবেই বা কেন একজন জন প্রতিনিধি যেখানে কোন আইন মানছে না। বর্তমান সরকারের সুনাম বিনষ্ট করার জন্য ইটভাটার মালিকরা তাদের ভাটা নিয়ে নানা অবৈধ কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে।
সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থে ইটভাটার আইনকে শক্তিশালী করার পরও অর্থলোভী ইটভাটার মালিকরা সে আইনকে তোয়াক্কাও করছে না।ঘাটাইল উপজেলার দৈউলাবাড়ি ইউনিয়নের পূব দিকে রয়েছে সরকারি বিশাল বনাঞ্চল সরকারি এই বনাঞ্চলে গড়ে উঠেছে মূল্যবান নানা প্রজাতির গাছ।আর এই সব চারা গাছ গুলো কেটে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাটার খরি হিসাবে। পরিবেশের ডাল ও ডালের পাতা বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন ফলজ গাছও রক্ষা করা যাচ্ছে না।
ইট ভাটাগুলোর কারণে এলাকার জনবসতি এলাকাতে মানুষের মধ্যে নানা রোগ ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে এলাকার শিশুদের মাঝে শ্বাস প্রশ্বাসের সহ বিভিন্ন রোগের জন্ম দিচ্ছে। তাছাড়া ইট ভাটাতে জমি বা ভূমির যত প্রয়োজন তার চেয়ে দ্বিগুণ জমি ব্যবহার করার ফলে মৌসুমে ধানী জমি গুলোর মারাত্মক ব্যাঘাত। এ বিষয়ে এলাকার সাধারন মানুষের সাথে কথা বললে, তারা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। দৈউলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোরহাব হোসেন বার বার কাগজ পত্র দেখাতে চাইলেও তিনি কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি বরং তিনি আরো সাংবাদিকদের উচ্চ কন্ঠে বলেন আমার নাম কান পত্রিকায় দিবেন না। কোন
সূত্রে জানা যায়, অবৈধ ইটভাটার মালিকরা বিভিন্ন বিভাগকে ম্যানেজ করে তারা এলাকায় ইচ্ছামতো ইটভাটায় কাঠ জ্বালানোর সুযোগ নিচ্ছে। তাছাড়া ইট ভাটার মালিকদের মধ্যে কিছু অসাধু মালিক ভাটাগুলোর আশপাশে সন্ত্রাসীদের স্থান দিয়েছে বলে এলাকার জনমুখে প্রচার রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।