চার ইউনিটে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও ছালমার ভর্তি অনিশ্চিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চারটিতেই ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে মেধাবী ছালমা খাতুন। ভর্তি হওয়ার সমর্থ নেই : পরিবারের নেই পড়ালেখার খরচ জোগাড়ের ক্ষমতা। মেধা তালিকায় এইচ ইউনিটে দ্বিতীয়, জি ইউনিটে সপ্তম, সি ইউনিটে ২৯তম এবং বি ইউনিটে ৪৩তম স্থান পেয়েছে। তারপরও আর্থিক কারণে ভর্তি হওয়ার সমর্থ নেই এ মেয়েটির। পড়ালেখা করে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ব্যাংকার হওয়ার আশা পূরণ হবে কি-না তা নিয়ে চিন্তিত ছালমার পরিবার।
ছালমা খাতুন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের আবু বকরের মেয়ে। তার আরো দুটি ভাই আছে। বড় ভাই জুয়েল রানা ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে অনার্স পড়ছে। আর ছোট ভাই জিল্লুর রহমান ৮ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে। ছালমা জানায়, তাদের কোনো জায়গা-জমি নেই।
টিনের চালার দুটি কক্ষে তারা বসবাস করে। বাবা আবু বকর অন্যের জমিতে কাজ করেন। বাবার আয়ে তাদের ৫ সদস্যের সংসারই ঠিকমতো চলে না। যে কারণে বাবার পক্ষে তাদের ভাই-বোনদের পড়ালেখা করানো সম্ভব নয়। বড় ভাই জুয়েল রানা ছাত্র পড়িয়ে নিজের পড়ার খরচ জোগাড় করেন। ছোট ভায়ের তেমন খরচ দিতে হয় না। তিনি এতোদিন শিক্ষকদের সহযোগিতায় পড়ালেখা করে এসেছেন। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার খরচ জোগাড় করা পরিবারের পক্ষে কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
ছালমা আরও জানান, গাড়ি ভাড়া জোগাড় করতে পারেনি, তাই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যেতে পারেনি। বাড়ির কাছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। চারটি ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে চারটিতেই উত্তীর্ণ হয়েছে। সামনে মৌখিক পরীক্ষা হবে। এরপর ভর্তির চিন্তা, তারপর পড়ালেখা। ছালমা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভর্তির সুযোগ পাবার পরও অর্থের কারণে তার পক্ষে ভর্তি হওয়া সম্ভব হবে কি-না তা জানিনা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।