চার দশকের বাংলাদেশ। ছোট এই দেশে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক। আর দিনদিন জনসংখ্যা যত বাড়ছে সেই সাথে পাল্লাদিয়ে বাড়ছে যানবাহন। আর যানবাহনের এ আধিক্যর কারনে দেশের প্রতি বড় শহরে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। বিশেষ করে ঢাকা শহরের অবস্থা আরও করুন। রাস্তায় বের হলেই ট্রাফিক জ্যাম নগরবাসির জন্য যেন নিত্য দিনের সঙ্গী। আর এই জ্যাম নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত কোনটিও কাজের কাজ হইনি।

জ্যামের মুল কারণ হল উচ্চ শ্রেণীর অতিরিক্ত প্রাইভেট কার ব্যবহার রিক্সা কিছু কিছু কেত্রে বাসের ঢিমাতলে চলন। কিন্তু এই বাহন নগরবাসিকে স্বাভাবিক ভাবে চলাচলের জন্য এখন পর্যন্ত খুব একটা স্বস্তি দিতে পারেনি। রাস্তা বের হলেই ট্রাফিক জ্যামের কারনে দিনের কর্মসুচির বারটা বেজে যায়। নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হওয়ার পরও অনেকে কর্মস্থলেই পৌঁছাতে পারে না। তাই এখন অনেকেই বেঁছে নিচ্ছেন তেল, গ্যাসের জামেলা মুক্ত দুই চাকার বাহন সাইকেল।

দুর্ঘটনা হতে এড়িয়ে চলার ক্ষেত্রে অনেকটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই বাহন। সাইকেল দুই চাকার বাহন প্যাডেলে পা দিলেই চেইনের নিবিড় সহযোগিতায় গড়িয়ে চলে। গ্রামে বিনা তেলে এ বাহন একটা জীবন জীবিকার সহযাত্রী মানুষের অনেকটা চাহিদার প্রতি সাইকেল এসেছে প্রয়োজনে। 

সে কারনে সাইকেল আমাদের দেশের জন্য অতি দরকারি একটা বাহন। বিশেষ করে এখন রাস্তায় তাকালেই দেখা যায় পরিবেশ বান্ধব এই বাহনটি। অনেকেই প্রাইভেট কার থাকা সত্তেও সময় বাঁচানোর ক্ষেত্রে সাইকেলই স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে। কম দূরতের রাস্তায় জ্যামের সমাধান বলা যায় সাইকেল।

জ্বালানী নিয়ে চিন্তা নেই, নষ্ট হয়ে বিপদে পরার জমেলা কম। পড়াশোনা কিম্বা দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে বন্ধুরা মিলে অনেকেই বিকেলে বেরিয়ে যান অবসরে খানিকটা মুক্ত হাওয়ার সন্ধানে।

এখন রাজধানীতে সাইক্লিষ্টদের জন্য অনেক রকম গ্রুপ রয়েছে । তার মধ্যে (বিডি সাইক্লিং) গ্রুপ অনেক এগিয়ে। বর্তমানে তাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ হাজার। তারা তাঁদের সদস্য সংখ্যাকে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করে।এখন বাংলাদেশে মেয়ে সাইকেলিষ্টদের সংখ্যা অনেক। কিন্তু বর্তমানে মেয়েরা সাইকেল নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য রাস্তা ঘাটে ইভ-টিজিং এর ভয়ে সাইকেল নিয়ে বেরতে ভয় পায়।