- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- গাইবান্ধার চরাঞ্চলে পিঁয়াজের বাম্পার ফলন
গাইবান্ধার চরাঞ্চলে পিঁয়াজের বাম্পার ফলন
বিগত আমন মৌসুমে দফায় দফায় বন্যায় চরাঞ্চলের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এ লক্ষ্যে চরাঞ্চলের কৃষকরা আগাম পিয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।
চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা, হরিপুর, তারাপুর, দহবন্দ, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসী ভরা তিস্তা নদীর মরা চরাঞ্চলে ছিটা পিঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। চরাঞ্চলের কৃষকরা বর্তমানে ছিটা পিঁয়াজ বাজারে বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। বাজারে পিঁয়াজের সংকট দেখা দেয়ায় চরাঞ্চলের ছিটা পিঁয়াজ বাজারে অনেকটা চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চরাঞ্চলে প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে ছিটা পিঁয়াজের চাষাবাদ করা হয়েছে। এলাকাগুলো হচ্ছে- লাঠশালার, খোর্দ্দার, নিজাম খাঁর, চর চরিতাবাড়ি, বেলকা নবাবগঞ্জের, রিয়াজ মিয়ার, হাট-হাজারির, উজান বোঁচা গাড়ির, ভাটি বুড়াইল, চর বিরহিম, হরিপুর, বাদামের চর, কালাই সোতা, ফকিড়েরটারি, কোরানি, ভোড়ের পাখিসহ বিভিন্ন চরে ছিটা পিঁয়াজের চাষাবাদ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ছিটা পিঁয়াজ পাতাসহ বিক্রি হচ্ছে ১০ হতে ১৫ টাকা এবং পাতা ছাড়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ হতে ২৫ টাকা।
তারাপুর চরাঞ্চলের কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান, এ বছরে ২ একর জমিতে পিঁয়াজের আবাদ করে ফলন ভাল হওয়ায় ২ মেয়ের বিয়ে দিতে পেরেছি।
বেলকার ইউনিয়নের কৃষক আনিছুর রহমান জানান, পরপর চার বছর কৃষি কাজে লোকসান গুনতে হয়েছে। এ বছর ছিটা পিঁয়াজের আবাদ করে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পরিশোধ করেছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ সত্যেন কুমার জানান, বন্যা পরবর্তী জমিগুলোতে উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছরে ঘন কুয়াশা থাকার পরও গম, আলু, সরিষা ও ছিটা পিঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।