সামরিক খাতে রেকর্ড বরাদ্দ জাপানের
সামরিক খাতে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ক্রমেই শক্তিশালী হওয়া চীনের সামরিক শক্তিকে টেক্কা দিতে এ খাতে জাপান বরাদ্দ বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আগামী এপ্রিল থেকে জাপানে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে জাপান সামরিক খাতে বরাদ্দ দিয়েছে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। যুদ্ধবিমান, সামরিক নৌযান এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম কেনার জন্য এ বিপুল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চীনের সঙ্গে সংযুক্ত জাপানের জলসীমান্ত পাহারা দেয়ার জন্য এখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই দ্বীপ নিয়ে চীনের সঙ্গে জাপানের দ্বন্দ্ব চলছে।
সামরিক খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধি সম্পর্কে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেন নাকাতানি এ বিষয়ে বলেন, জাপানের পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসছে। জাপানের মানুষ এবং জল, স্থল ও আকাশ রক্ষার জন্য এ বাজেট প্রয়োজন।
এদিকে রেকর্ড এ বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও এক ধরণের নতুন রেকর্ড গড়লেন। দেশটিতে এর আগে প্রতিবছরই সামরিক খাতে ন্যুনতম বরাদ্দ দেয়া হতো। তবে এ বিপুল অর্থ ব্যয় করা হলেও তা চীনের ধারেকাছেও নয়। চীন প্রতিবছরই সামরিক খাতে বরাদ্দ বিপুল পরিমাণে বাড়াচ্ছে। গত বছর চীনের সামরিক খাতে বরাদ্দ আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বাড়িয়ে ১৩ হাজার কোটি ডলার করা হয়েছিল।
এদিকে জাপানের সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, সামরিক খাতে অর্থ বাড়ানোর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে দেশটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও শান্তি ধরে রাখতে আগ্রহী।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লেই বলেন, জাপান সরকারের সামরিক খাতের নীতির দিকে এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে।
জাপানের বরাদ্দকৃত সামরিক খাতের বাজেটের বেশিরভাগ অর্থ ব্যয় করা হবে বোয়িং এর উড়োজাহাজ, নরথর্প গ্রুম্যান করপোরেশনের হক ড্রোন, কাওয়াসাকির সাবমেরিন এবং লকহিড মার্টিনের যুদ্ধবিমান কিনতে। এছাড়া ওকিনাওয়া দ্বীপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।