আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, এক আ.লীগ কখনো রাতের অন্ধকারে ক্ষমতায় আসেনি। তারা সব সময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। বুধবার বিকালে নরসিংদীর মুছলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খান, জেনারেল জিয়া ও পরবর্তীতে জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সামরিক বাহিনীর পোষাক পড়ে কু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল গঠন ও ক্ষমতায় আসীন হলেও আওয়ামী লীগ কখনো সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। 

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে বলেন, ভুলে যাবেন না, আপনার স্বামী রাতের আধারে সামরিক অভ্যূত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগে শুধু রাজনৈতিক দলই নয়। ইহা একটি পরিবার। আওয়ামী লীগের ওপর এত অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে যে, পৃথিবীর কোন রাজনৈতিক দল ওপর এমন নির্যাতনের শিকার হয়নি।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল হিসেবে ইতিহাস রচনা করেছে, যারা জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে এবং ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছে। এটা শুধু সম্ভব হয়েছে দলের আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতি অগাধ বিশ্বাস আছে বলেই।

প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণে আপনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। বরং আপনাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু আপনি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে দেশে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছেন।

এ সময় নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাংসদ ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, স্বাস্থ্য ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লেঃ কর্ণেল (অব:) মো: নজরুল ইসলাম হীরু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাংসদ অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম, কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।