২৫ ভাগ শিশুই লেখাপড়া জানেনা ভারতের
খুবই আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে ভারতের এক চতুর্থাংশ শিশুই পড়তে পারে না। বুধবার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের করা রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে অষ্টম শ্রেণীতে পরছে এমন শিশুদের ২৫ ভাগই দ্বিতীয় শ্রেণীর ইংরেজি বই পড়তে পারে না। এমনকি তারা সাধারণ যোগ-বিয়োগ পর্যন্ত করতে পারে না।
এসিয়ার নামের একটি এনজিও দেশটির শিক্ষার মানের ওপর গত বছর জরিপ চালিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট বলা হয়েছে, দেশটির শিক্ষার মান হৃদয়বিদারক এবং গত পাঁচ বছরে এ খাতটিতে কোনোই পরিবর্তন হয়নি। বিশেষ করে ইংরেজিতে শিশুদের অগ্রগতির মান হতাশাজনক।
রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণীর ৬০ ভাগ শিশু ছোট ছোট ইংরেজি বাক্য পড়তে পারত। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা কমে ৪৭ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম এলাকার ছেলেমেয়েরা গণিতেও বেশ দুর্বল। সেখানকার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা দুই
সংখ্যার ভাগ পর্যন্ত করতে পারে না। ২০১০ সালে ভারতের চতুর্থ শ্রেণীর ৫৭ দশমিক ৭ ভাগ শিশুই ভাগ করতে পারত না। তবে ২০১৪ সালে এ সংখ্যা কমে ৪০ দশমিক ৩ ভাগে দাঁড়িয়েছে।
২০১০ সালে পঞ্চম শ্রেণীর ৩৬.২ ভাগ শিশু ভাগ করতে পারত না। আর দ্বিতীয় শেণীতে পড়া ১৯.৫ জনই নয়ের বেশি সংখ্যা চিনত না। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা কমে হয়েছে ২৬.১ ভাগ।
ইংরেজিতে অধিকাংশ ভারতীয় শিশুই দুর্বল। দেশটির ২৫ ভাগের কম শিশু ‘সময় কত?’ বা ‘আমি পড়তে পছন্দ করি’ এসব ছোট ছোট ইংরেজি বাক্য পড়তে পারে।
তবে ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামাঞ্চলের শিশুদের মধ্যে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। যদিও সরকারি স্কুলগুলোর সুযোগ সুবিধা বেড়েছে এবং শিক্ষকদের স্কুল উপস্থিতির পরিমাণও আগের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু তারপরও সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বাড়ছে না।
দেশের ৫৭৭টি জেলার মোট ৫ লাখ ৬৯ হাজার ২শ ২৯ জন শিশুর ওপর জরিপ চালিয়ে এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এসিয়ার।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।