লেনদেন ভলিউম ধীরে ধীরে উন্নতি হওয়ায় বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে লেনদেন ভলিউম একটা গন্ডির মধ্যে আটকে ছিল। এদিকে স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থায় বেশ কিছু সমস্যা সৃষ্টি হওয়া এবং সে বিষয়গুলো সমাধানে স্টক এক্সচেঞ্জের সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ায় লেনদেন ভলিউম উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই বাজারের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্টেকহোল্ডারদের দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করা উচিত।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অষ্পষ্টতার মধ্যে রয়েছে। এতে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেকে বিনিয়োগে আসতে চাইলেও পর্যবেক্ষণ করছে। তবে গত কয়েক দিন বাজারে লেনদেন ও শেয়ার ভলিউম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করছে। মূলত প্রাতিষ্ঠানিকদের একটা বড় অংশ ইতোমধ্যে বাজারে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাদের সক্রিয় হওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হতে আরো কয়েক দিনের লেনদেন কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে। এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অন্যান্য ব্যবসা বাণিজ্য তেমন ভাল না থাকায় কেউ কেউ আবার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে।

এ বিষয়ে এইমস বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়্যওয়ার সাঈদ বলেন, লেনদেন ভলিউম আগের চেয়ে কিছুটা বাড়ছে। মূলত বাজারে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর অনেকটাই সহনীয় অবস্থানে রয়েছে। তাই কেউ কেউ এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। একদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অন্য দিকে ব্যবসা দুইটা ভিন্ন অবস্থায় রয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন লেনদেনে আরো বড় প্রভাব পড়বে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাজারের গতি প্রকৃতি দেখে পুরোপুরি স্বস্তি নেয়ার অবকাশ নেই। তবে সব কিছু নির্ভর করছে আরো কয়েকদিন বাজার পর্যবেক্ষণের ওপর। কারণ পূর্বেও এ ধরনের লেনদেন কিছুটা সময় ভাল থেকে আবার প্রতিকূলে চলে যেতে দেখা গেছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সব কিছু বিবেচনা করে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে অংশ নেয়া উচিত বলে ইয়্যওয়ার সাঈদ মনে করেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একাধিক পরিচালক জানান, বাজার বেশ কিছু দিন লেনদেন একটা গন্ডির মধ্যে আটকে ছিল। এখন এখান থেকে বাজার বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে লেনদেনের ওপর কর কমানো ও টিকার সমস্যা কাটিয়ে ওঠায় বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি ফিরে পাচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি একটা স্বাভাবিক গতিতে রয়েছে। এটা বাজার এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির আভাস দিচ্ছে। তবে লেনদেনের ইতিবাচক ধারাবাহিকতা আরো কয়েকদিন বজায় থাকলে সবার মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তারা।