বছরে ৪০০০ কোটি টাকার স্বপ্ন দেখছে : যোগগুরু
যোগগুরু রামদেব ভোগ্যপণ্য ব্যবসায় বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছেন। সম্প্রতি নামী ব্র্যান্ড ইমামি-কে পিছনে ফেলে দিয়েছে রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ কেন্দ্র। সংস্থার ব্যবসার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে বার্ষিক ২০০০ কোটি টাকা। বামদেব স্বপ্ন দেখছে বৎসরে ৪০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার।
যোগ সাধনা এবং ভোগ্যপণ্য সামগ্রীর মধ্যে কোনও নিকটতম সম্পর্ক আছে বলে কস্মিনকালে কেউ শোনেননি। যোগের মাধ্যমে কেবল শারীরিক নয়, মানসিক বিকাশও ঘটে। ভোগ্যপণ্যের ব্যবহারে মূলত দেহজ চাহিদা মেটে। আপাত বিপরীতধর্মী এই দুই পৃথিবীতে কিন্তু অনায়াস বিচরণে পারদর্শী যোগগুরু রামদেব। একদিকে যোগের মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের তালিম দিয়ে অগণিত ভক্ত হৃদয়ে তিনি ঠাঁই করে নিয়েছেন, আবার তাঁরই সৃষ্টি পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ কেন্দ্রে প্রস্তুত পণ্য গ্রাহকদের রোজের জীবনের প্রায় সমস্ত প্রয়োজন মেটাচ্ছে। বর্তমানে পতঞ্জলি গ্রুপ প্রায় সব রকমের ভোগ্যপণ্য তৈরি করছে। এর মধ্যে খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে প্রসাধনী, সবই রয়েছে। ফলে পণ্য বিক্রি করে প্রতিদিন ফুলে-ফেঁপে উঠছে যোগাচার্যের ব্যবসা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ২০১২ সালে বার্ষিক ৪৫০ কোটির কাছাকাছি ব্যবসা করার পর ২০১৪ আর্থিক বছরে মোট ১২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে রামদেবের সংস্থা। চলতি বছর সেই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০০০ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য বছরে ১৭০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ইতোমধ্যেই পতঞ্জলির কাছে হার মেনেছে ইমামি গ্রুপ।
প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলির চেয়ে পতঞ্জলির তৈরি পণ্যর দাম তুলনায় সস্তা। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের বিক্রির হার বেশি হয়। পাশাপাশি, পণ্যের বিক্রি বাড়াতে বিজ্ঞাপনের পিছনেও খুব কম টাকা ঢালে রামদেবের সংস্থা। ২০০৭ সালে ব্যবসা শুরুর সময় ফ্র্যাঞ্চাইজির মারফত পণ্য বিক্রি করত সংস্থা। এর পর বিষয়টি নিজের হাতে তুলে নেন বাবা রামদেব। বর্তমানে সারা দেশে পতঞ্জলির নিজস্ব শো-রুমের সংখ্যা ৪০০। ২০১৫ সালে তা বাড়িয়ে ১০০০ করাই সংস্থার লক্ষ্য।
এ ছাড়া দেশের বেশ কয়েকটি নামী রিটেল চেনের শপিং মলেও পতঞ্জলির পণ্য বিক্রি হয়। কিছুদিনের মধ্যে অনলাইনেও মিলবে এই সমস্ত ভোগ্যপণ্য। আপাতত মেরিকো গ্রুপের বাত্সরিক ৪০০০ কোটি টাকার লেনদেনের সীমা টপকানোর স্বপ্ন দেখছে রামদেবের পতঞ্জলি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।