বন্যপ্রাণী হত্যা মামলায় বিপাকে সালমান
১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিংয়ে রাজস্থানে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছিলেন সালমান খান। তার সঙ্গে আরও অনেকে থাকলেও তিনিই ছিলেন মূল অভিযুক্ত। সেই মামলায় ফের বিপাকে পড়লেন সালমান খান। এই মামলায় তার সাজার ওপর রাজস্থান হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল তা খারিজ করে দিল ভারতের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পুনর্বিবেচনার জন্য ফের রাজস্থান হাইকোর্টের কাছেই পাঠালো। এর ফলে সালমান খান এবার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ফের নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবেন।
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সালমান খানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছিল রাজস্থান সরকার। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বুধবার রায় দেয় আদালত। প্রাথমিকভাবে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সাজা শোনায় রাজস্থানের দায়রা আদালত। কিন্তু নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে আবেদন করেন সালমান। তখনই নিম্ন আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, সালমান হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন, সাজা স্থগিত না হলে তা তার বৃটেন যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠবে। এই আর্জির ভিত্তিতে সাজা স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। এ বিষয়ে হাইকোর্টের মত ছিল, চূড়ান্ত রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সালমানকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া না হলে তা ঠিক হবে না। বৃটিশ অভিবাসন আইন অনুযায়ী, চার বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তকে ভিসা দেওয়া হয় না। যেহেতু সালমানের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়েছিল সেহেতু তাকে ভিসা দিতে অস্বীকার করে বৃটিশ দূতাবাস। ভারতীয় দোষী সাব্যস্তদের পাসপোর্টে দোষী শব্দটি স্ট্যাম্প মারা থাকে।
২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায় ও এ কে গোয়েলের বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। মামলার বিস্তারিত বিষয়ে না গিয়ে শুধুমাত্র পেশাগত কাজে ইংল্যান্ডে যাওয়ার জন্য অভিনেতার ভিসা পাওয়ার পথ মসৃণ করতে সাজা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে রায়দান স্থগিত রেখেছিল বেঞ্চ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।