- হোম
- >
- শিল্প-সাহিত্য
- >
- মুক্তি
কবিতা
মুক্তি
অসীম সাহা
প্রিন্টঅঅ-অ+
প-বর্গীয় ধ্বনির ভেতরে কোনো জলাশয় নেই
নেই কোনো বদ্ধ ডোবা কিংবা কোনো কচুরিপানার ঝাঁক!
বহমান স্বচ্ছ জলধারা অসবর্ণ বিবাহবন্ধনে
আবদ্ধ হতেই শুধু ছুটে যায় সমুদ্রসঙ্গমে।
মাধবীলতার ফুল ফোটে নাকি প্রবীণ পুকুরে?
প্রত্যাখ্যান শব্দের পিছে কোন বর্ণের অঙ্গীকার আছে?
নিজেও সে জানে না তা। তাই শুধু উপসর্গ, অনুসর্গ
প্রত্যয় কিংবা কারকের বহুবিধ ব্যবহার খোঁজে!
প্রতিটি ধ্বনি ও বর্ণের অনুগত ব্যাখ্যা জানে বলে
উদ্ধৃতিযোগ্য পঙক্তিতে সে ভরে তোলে
আদর্শলিপির নিজ ছেঁড়াখোঁড়া পাতা।
স্বরবর্ণের আদ্যাক্ষরের সাথে প-বর্গীয় পঞ্চম ধ্বনির
বিবাহকে বৈধ করে শৈল্পিক সন্তানের পিতার সন্ধান খোঁজে।
বঙ্গীয় শব্দকোষে যে বর্ণের অভিসার নেই, তাকে নিয়ে
বরযাত্রী যেতে কোনো বৈয়াকরণের জানি সাহস হবে না!
তবুও নাছোড়বান্দা মহাপ্রাণ ধ্বনি চায় সংসদ অভিধানে
দুইটি বর্ণের জোড়া কবুতর হয়েই সে উড়ে যাবে দূর কোনো দেশে!
অথচ স্বপ্নগুলো তার কাছে দিগন্তের প্রেক্ষাপটে বহু দূরগামী;
তাই সে তো জীবনের পরমায়ু খুঁজে পেতে ছুটে যায় ঈশ্বরের কাছে।
ঈশ্বর শোনে না কথা, পণ্ডিতের ব্যাকরণ নিপাতনে সিদ্ধ হয়;
কেবল ধ্বনির ক্ষেত্রে ব্যাকরণ নিয়ম মানে না।
প-বর্গীয় পঞ্চম ধ্বনি তাই হলফনামার কাছে আশ্রয় খোঁজে।
অবশেষে নোটারি পাবলিক করে আয়াতের সম্মুখে
কম্পিত স্বাক্ষর সেরে পরাভূত জীবনের মুক্তি মেলে তার।
সমাপ্তিরেখার টানে ক্যানভাস ভরে ওঠে গানে।
অশ্রুর ভেতর থেকে রাত্রির অন্ধকারে কেঁদে ওঠে
বহুদিন অযত্নে পড়ে থাকা একখানি রক্তাক্ত বালিশের ফাঁদ!
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।