বিএনপি জোটের টানা অবরোধের কারণে বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। মজুদ ফুরিয়ে গেলেও নাশকতার আশঙ্কায় পর্যাপ্ত তেল আনতে পারছেন না পাম্প মালিকরা। দু’একটি পাম্পে সামান্য তেল থাকলেও হরতাল অবরোধের কারণ দেখিয়ে তা গ্রাহকদের দেয়া হচ্ছে না। পাম্প ম্যানেজাররা বলছেন, অবরোধের কারণে তেল আনতে না পারায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

ছোটবড় মিলে বগুড়া জেলায় জ্বালানি তেলের পাম্প রয়েছে ৫৯টি। এর মধ্যে অধিকাংশ পাম্পে তেল না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহন ও মোটরসাইকেল চালকরা। দু’একটি পাম্পে তেল থাকলেও হরতাল অবরোধের কারণ দেখিয়ে তা আবার দেয়া হচ্ছে না।

ভুক্তভোগী চালকরা জানান, পাম্পে ঘুরে ঘুরে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বেশি দামে খোলা বাজারে তেল কিনতে হচ্ছে। হরতাল অবরোধের কারণে তেল না পাওয়ায় গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে।

অবরোধ ও হরতাল চলায় নিরাপত্তার কারণে কেউ বাঘাবাড়ী ঘাট থেকে তেল সংগ্রহ করতে সাহস পাচ্ছেন না, ফলে তেল সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান পাম্প ম্যানেজাররা।

নিরালা ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মোঃ মোসলেম উদ্দিন বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড টাঙ্কিতে তেল নাই। বাঘাবাড়ী ঘাটে থেকে তেল আসছে না। আসলে তেল দেয়ার ব্যবস্থা করবো।

নর্থ বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজ'র ম্যানেজার দীনেস সাহা জানান, তেল না আসার কারণে আমরা তেল বিক্রি করতে পারছি না। সরকারের সহযোগিতায় আমরা যদি তেল নিয়ে আসতে পারি তাহলে তেল বিক্রি করতে পারবো।

এদিকে, যমুনা ওয়েল কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বিপুল পরিমাণ তেল মজুদ রয়েছে বাঘাবাড়ী ঘাটে। কিন্তু অবরোধের কারণে পরিবহন সংকট থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় পুলিশ নিরাপত্তায় তেল আনা হবে।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের মাধ্যমে পুলিশি নিরাপত্তায় ডিলাররা বাঘাবাড়ীতে গিয়ে তেল নিয়ে আসবে।

বর্তমানে উত্তরাঞ্চলের জন্য সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী ঘাটে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ওয়েল কোম্পানির ৬ কোটি লিটার ডিজেল, ২৪ লাখ ৭০ হাজার লিটার পেট্রোল ও ৭ লাখ লিটার অকটেন মজুদ রয়েছে।