রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার ময়েনপুর গ্রামের আদিবাসী যুবক ও সাঁওতাল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের নেতা হত্যাকারদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবীতে আজ মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সাসু (সাঁওতাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন)।

এ সময় বক্তার বলেন, “আমরা কুত্তা বিড়াল হতে চাইনা। আমরা চাই বাংলাদেশে একজন নাগরিকের মত বসবাস করতে”। তারা বলেন, সম্প্রতি কালে আদিবাসীদের উপর হামলা, আদিবাসী নারীর উপর ধর্ষণ, হত্যা, অপহরণ, ভূমিদখল, বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদের মত অমানবিক ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে আদিবাসী নারীর উপর সহিংসতা এবং আদিবাসীদের হত্যা বেড়েই চলছে। এর প্রতিবাদেই আমদের এই মানববন্ধন।

(সাসু) এর সদস্য নিশি সরণ বলেন, ৮ই জুন বাবলুকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মানবাধিকার, সাংস্কৃতিক কর্মীরা চুপ করে আছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সাঁওতাল নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, তাছাড়া ৪ই আগস্ট ২০১৪ চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুর উপজেলা আদিবাসী নারী নেত্রী বিচিত্রা তিরকি নির্যাতনের শিকার হন।

অলিক মির বলেন, গত ২ আগস্ট দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ এ কচুয়া গ্রামে ঢুডু সরেন নামে এক সাওতাল আদিবাসীকে ভুমিদস্যুরা  পিটিয়ে হত্যা করেন।

(গারো গোষ্ঠী – ঢাকা) পিতল চন্দ্রমোল বলেন, গত বছরের ৮ জানুয়ারি রাজশাহি তানোর উপজেলার ময়েনপুর গ্রামে  বাবলু হেম্ব্রম (২৩) নামে এক সান্তাল ছাত্রকে গভীর রাতে ধারালো আস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। কিন্তু এর বিচার আমরা পাইনি।তাছাড়া বেআইনি ভাবে আদিবাসীদের ভুমি দখল করা হচ্ছে। কিন্তু এইসব এর কোন বিচারই আমরা পাইনি। উপরোক্ত ঘটনা সমুহ বিবেচনা প্রেক্ষিতে এই মনববন্ধনে নিম্নোক্ত দাবিগুলো ( সাসু) বাংলাদেশ উত্থাপন করছে-

১। বাবলু হেম্ব্রম এবং আদিবাসী হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে হবে

২। আদিবাসী নারীর ও শিশুর উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে

৩। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে

৪। সমতলে আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে

৫। আদিবাসীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।