বিড়ালের কামড়কে আর হালকাভাবে দেখার কিছু নেই, সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য জানা যায়। এমনকি বিড়ালের কামড়ে সংক্রামনের ঝুঁকি কুকুরের চেয়েও দ্বিগুণ।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বিড়ালের কামড়ে সংক্রামনের ঝুঁকি থাকে। এছাড়া ৫০ শতাংশ সংক্রামনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে আক্রান্ত হওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা না নিলে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।’

প্রধান গবেষক এবং ইউনির্ভাসিটি অব ওয়াশিংটনের আর্থোপেডিক সার্জন এবং স্টিপেন কেনেডি বলেন, ‘বেশিরভাগ আক্রান্তরাই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। সব আক্রান্তের জন্যে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

এছাড়া বিড়াল বা অন্য যেকোনো প্রাণীর মাধ্যমে হাতে আক্রান্ত হলে সংক্রামন এবং পঙ্গুত্বের ঝুঁকি কম থাকে।’

সংক্রামনের লক্ষণ হিসেবে ত্বকের উপরে লালদাগ, শরীরে অতিরিক্ত ঘাম, ক্রমবর্ধমান ব্যথা এবং জ্বর হতে পারে। বিড়ালের চোয়াল কুকুরের মতো শক্তিশালী না হলেও সরু এবং তীক্ষ্ণ দাঁত বেশ ভয়ংকর।

এই গবেষণাটি আমেরিকার অ্যাকাডেমি অব আর্থোপেডিক সার্জনস (জেএএওএস) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।