মেঘনার দুর্ঘটনায় দুই লঞ্চেরই রুট পারমিট বাতিল
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনা কবলিত দুই লঞ্চের রুট পারমিট স্থগিত করেছে বিআইডব্লিউটিএ। একইসঙ্গে ওই নৌযানের মাস্টারদের সনদ স্থগিত করেছে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় চার সদস্যেরে একটি কমিটিও গঠন করেছে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি পারাবত-৯-এর সঙ্গে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এমভি সুন্দরবন-৮ লঞ্চের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়।
এ দুর্ঘটনায় নিহতরা নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোস্তফা কামালের মা সাহানা বেগম (৬৫) ও তার ছেলে আবরার শাকিল (৬। এ ঘটনায় কামাল নিজে এবং তার স্ত্রী ও বোনও আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআডব্লিউটিএ) চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল উদ্বৃতি দিয়ে জানান, এ দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীরা হলেন রূপা (২৭), ডালিয়া (৩৮), শিউলি (৩৫), রাব্বি (১১), মনোয়ারা (৫০), সুরাইয়া (২৮), জেরিন (৯), জাহাঙ্গীর (৩৬), ওয়াহিদ (২৭) ও মোস্তফা কামাল (৩৫)। তাঁরা সবাই সুন্দরবন লঞ্চের যাত্রী। তাঁদের বাড়ি বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায়।
১৯৭৬ সালের অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে লঞ্চ দুইটির রুট পারমিট স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার জন্য সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের মেরিন কোর্টে মামলার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর।
সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুরের মেঘনায় দুই লঞ্চের মধ্যকার দুর্ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির প্রধান সদরঘাটের সার্ভেয়ার (লঞ্চ পরিদর্শক) শাহরিয়ার হোসেন। বিআইডব্লিওটিএ’র চাঁদপুরের পরিদর্শক মো. মোবারক হোসেন, সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দিন ও পরিদর্শক হাবিবুর রহমানকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।