হোমনা ডিগ্রি কলেজে ফর্ম পূরণে অনিয়মের অভিযোগ
কুমিল্লার হোমনা ডিগ্রি কলেজে এইচ এসসি পরীক্ষার ফর্ম পূরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা সমস্ত বেতন পরিশোধ করেও অতিরিক্ত সাড়ে ৩ হাজার টাকা দিয়ে ফর্ম পূরন করতে হয়েছে। আবার কলেজের বেতন পরিশোধ না করে এবং টেস্ট পরীক্ষায় অংশ গ্রহন না করে অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা মাত্র বোর্ড ফি দিয়ে ফর্ম পূরণের সুযোগ পেয়েছে।
কলেজের শিক্ষার্থীর সাথে আলোচনা করে জানা যায়, একটি বিশেষ মহলের যোগসাজসে অধ্যক্ষের প্রিয়ভাজন কয়েক জন শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে অনৈতিক অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মাত্র বোর্ড ফি দেখিয়ে প্রায় ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে ফর্ম পূরণের সুযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা । এতে একটি বড় অংকের টাকা থেকে কলেজ বঞ্চিত হয়েছে ।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ফ্রি ও হাফ ফ্রি দিতে হলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফর্মপূরণের সুযোগ থাকে । কিন্তু যারা মাত্র বোর্ড ফি নিয়ে ফর্ম পূরণের সুযোগ পেয়েছে তাদের অনেকে গরীব ও মেধাবী কোটায় পড়ে না বা ফ্রি বা হাফ ফ্রি পাওয়ার জন্য কোন আবেদন পর্যন্ত করেনি ।
এদিকে কলেজের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অধ্যক্ষের প্রিয়ভাজন দু’জন শিক্ষকের বির্তকিত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে । জানাগেছে ,অধ্যক্ষের প্রিয়ভাজন মোঃ হারুন অর রশিদ কলেজের মার্কেটিং বিভাগের এক প্রার্থী মোঃ সফিকুল ইসলাম কে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দাবী করে ।এবং আরেক প্রিয় ভাজন শিক্ষক ফকির মোঃ ছাদেক বীনা রসিদে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা আদায় করছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে বেশ আলোড়ণ সৃষ্টি হয়েছে । এতে শিক্ষক নিয়োগ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সুপারিশে “ গরীব ছাত্র/ছাত্রীরকে শুধুমাত্র বোর্ড ফি দিয়ে ফর্ম পূরণের সুযোগ দেয়া হয়েছে । এবং শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে তিনি বলেন প্রার্থীর নিকট থেকে ঘুষ দাবী করার বিষয়টি শুনেছি । কিন্তু প্রমাণিত হয়নি ।এটি একটি গুজব । এতে আমি জড়িত নই ।
কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রার্থী মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, হারুন আর রশিদ স্যার আমার মোবাইলে ফোন করে আমার নিকট আড়াই লাখ টাকা দাবী করে বলেন, কলেজে চাকুরী পেতে হলে টাকা নিয়ে প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সাথে সাক্ষাত করেন ।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো: হারুন অর রশিদ বলেন, “ শফিকুল ইসলাম আমার ছাত্র ।অধ্যক্ষের পরামর্শে নিবন্ধন সংক্রান্ত ইনফরমেশন জানতে গিয়ে খামখেয়ালী করে বলেছি আড়াই লাখ টাকা ম্যানেজ করে প্রিন্সিপলের সাথে যোগাযোগ করতে।
কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ আমির হোসেন ভূইয়া এমপি বলেন, শুধু শিক্ষক নিয়োগ কেন কলেজের কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।