জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের শুভ সূচনা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাঘৈর গ্রামে সোমবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'দ্বিতীয় ক্যাম্পাস' উদ্বোধন করা হয়েছে। ওই ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
নতুন এই ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজনুর রহমান। পরে আলোচনা সভায় নসরুল হামিদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস এই এলাকায় স্থাপন করায় কেরাণীগঞ্জবাসী আনন্দিত। কারণ, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির রয়েছে প্রায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্য। তাই এই ক্যাম্পাসটি আরও সম্প্রসারণ জন্য সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।
উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, ২৭ (৪) ধারা বাতিলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপদান করেছেন। তাই আধুনিক ও মানসম্মত ব্যবস্থাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পস সম্প্রসারনের জন্য বর্তমান সরকার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। আমি যোগাদানের পর থেকে গতিশীল করতে সক্ষম হয়েছি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে একমাত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ই সরকারের অনুমোদন নিয়ে জায়গা ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জস্থ বাঘৈর গ্রামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি ৩৪৯.৫ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'-এর নামে অত্যাধুনিক একটি ছাত্র হল এবং বিশতলা ভবন বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে ই-বুক চালু করা হয়েছে, গবেষণা ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, এম. ফিল. ও পি.এইচ.ডি. কার্যক্রম চালু হয়েছে। একাডেমিক উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রায় পনের কোটি টাকার হোকেপ প্রজেক্ট চলছে। আগামী শিক্ষাবছর থেকে 'ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন' বিভাগ চালু করা হবে।
এসময় উপাচার্য কেরানীগঞ্জবাসীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং স্বেচ্ছায় কেউ দশ বিঘা জায়গা প্রদান করলে তার প্রদত্ত নাম অনুসারে হলের নাম করার ঘোষণা দেন। এজন্য কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটির ঘোষণা দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকেই জায়গার সংকটে ভুগছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের ফলে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ অত্র এলাকার লোকজন সকলেই উপকৃত হবে।'
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাধারণ সম্পাদক এস. এম. সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক এম আই শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়াকর্স দপ্তরে পরিচালক নুরুল হক মজুমদার, কর্মকর্তা সমিতির (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) মো. জাহিদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সরকার, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সালাউদ্দিন মোল্লা, কর্মচারী (সহায়ক) সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান এবং সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী সুকুমার চন্দ্র সাহা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রনেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপাচার্য মীজানুর রহমান, কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান বৃক্ষরোপণ করেন এবং অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।