তীব্র শীতেও হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর রস
শীতের শুরুতে প্রতি বছরের মত খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকার গাছীরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করবে এটাই ছিলো স্বাভাবিক। কিন্তু কেজি প্রতি ২৫-৩০ টাকা দিয়েও খেজুর রস মিলছেন আগের মত।
এ ব্যাপার স্থানিয়রা বলেন, গ্রামে গ্রামে খেজুর গাছ কেটে ফেলায় বিভিন্ন স্থানে জ্বালানী কাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়ে যাওয়াতে বিগত ৫-৬ বছর খেজুর গাছ
আশংকাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। যার ফলে এখন উপজেলায় তীব্র শীতের মৌসুমেও খেজুর রসের চাহিদা থাকলেও রসের সংকট দেখা দিয়েছে। বিত্তবানরা অনেক কষ্টে অতিরিক্ত মূল্যে দিয়ে খেজুর রসের মৌসুমী স্বাদ গ্রহণ করতে পারলেও পাহাড়ি এলাকার গরীব ও হত দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ সেই স্বাদ নিতে পারেন না আগের মত।
এদিকে সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ও উপজেলা পরিদর্শণ করে দেখা গেছে, উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল গুলোতে দূর দূরান্তে ২-৪ টি খেজুর গাছ থেকে গাছীরা রস সংগ্রহ করতে দেখা গেলেও রামগড় লেকের দু’পাশের খেজুর গাছগুলি গাছীর অভাবে খোলা না হওয়াতে রামগড় সদর ও কালাডেবা ও সোনাইপুল-খাগড়াবিল সড়কের দু’পাশের ৪৫-৫০টি খেজুর গাছ পৌরসভা ও আশপাশের এলাকার মানুষের রসের চাহিদা মিটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গাছীদের। ফলে জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপুল, সদু কার্বারীপাড়া, ফেনীরকুল পৌর এলাকাগুলোতে এখন উচ্চ মূল্যেও খেজুর রস খুজে পাওয়া যায় না যার ফলে তিব্র শীতেও ঘরে ঘরে মিলছেনা শীতের ভাঁপা পিঠা ও খেজুর রসে তৈরী নান ধরনের পায়েস।
রামগড় পৌর এলাকার গাছী মো. মোস্তফা জানান, প্রতি বছর শীতকালে নিয়মিত ৮০-৯০টি গাছে রসের জন্য প্রস্তুত করলেও প্রতি বছর কমছে গাছের সংখ্যা যার
কারণে আশপাশের এলাকার ২০-২৫টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে থাকি যা গ্রাহকদের চাহিদার তুলনায় অতি নগন্য।
তিনি আরও বলেন, ১২-১৫ বছর ধরে শীতের সময় খেজুর গাছের খেজুর রস সংগ্রহ করে গ্রাহকদের মাঝে বিক্রয় করে আসছি। এক সময় প্রচুর রস পাওয়া যেতো, এখন গাছও কম কিন্তু চাহিদা বেশি। অগ্রিম অর্ডাল দিয়েও গ্রাহকদের পরিমান মত রস দিতে পারিনা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।