সিরাজগঞ্জে বিএনপি, পুলিশ ও আ.লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ
সিরাজগঞ্জে আজ শনিবার সকালে শহরের ইবি রোড ও ইসলামিয়া কলেজ রোড এলাকায় বিএনপি, পুলিশের ও আওয়ামীলীগ মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড চায়না বুলেট, রাবার বুলেট, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এসময় জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সহ হয়েছে আরো অন্তত ২০ জন। এসময় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে সরকার সমর্থকরা। এ ঘটনায় পর শহরের কয়েকটি স্থানেও বিচ্ছিন্ন ভাবে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবাদে রোববার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে স্থানীয় বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের গুলি ও পুলিশের সহায়তা ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করার প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোটের পক্ষে রোববার সিরাজগঞ্জ জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হবে।
এর আগে সকালে লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয়ে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ১০ থেকে ১৫টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়, পরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ জেসি রোড, হেলালী রোড, আই, আই কলেজ রোড এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ছাত্র ও যুবলীগের নোতকর্মীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা ইবি রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর ও বিভিন্ন পোস্টার ছিড়ে ফেলে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শহরের রেলওয়ে কলোনী ও সয়াধানগড়া সওজ অফিস এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়ে মারপিট ও ভাঙচুর চালালে পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, প্রায় দেড় শতাধিক রাবার বুলেট-শর্টগানের গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বিজিবি টহল চলছে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া জানান, শহরের সেবা ইনস্টিটিউট চত্বরে শহীদ এম, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর টেলি কনফারেন্স চলছিল। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিএনপি কর্মীরা সেখানে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি পুলিশের নাগালের বাইরে গেলে সে সময় আমাদের কর্মীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে প্রতিহত করেছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।