এক মাসে লেনদেন চার হাজার সাতশ কোটি টাকা
গেল এক মাস বা সতের কার্যদিবসে নতুন ট্রেডিং প্লাটফর্মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ডিএসইতে লেনদেন ৪ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। এবং সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৪৪ কোটি টাকা। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ডিএসইতে এ সতের কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ২৪৯ কোটি টাকা। আর এই সময়ের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ২৫ পয়েন্ট। সিএসইতে এ সময়ে গড় লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি টাকা। আর এই সময়ের ব্যবধানে সূচক কমেছে ৬৫ পয়েন্ট।
নতুন আধুনিক প্রযুক্তির অটোমোটেড ট্রেডিং প্লাটফর্মে উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন কমেছে অপ্রত্যাশিত ভাবে। এক মাস বা সতের কার্যদিবসে ডিএসই’র গড় লেনদেন ছিল আড়াই’শত কোটি টাকার ঘরে।
এত কম লেনদেন হবার জন্য সবাই নতুন ট্রেডিং প্লাটফর্মকে দায়ী করেন বলে জানান শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এই নতুন পদ্ধতিতে শেয়ার ক্রয়বিক্রয়ে যথেষ্ট জ্ঞান নেই অধিকাংশ বিানয়োগকারীদের। এসব বিনিয়োগকারীরা জানে না এই নতুন পদ্ধতিতে কিভাবে শেয়ার লেনদেন করবে। অবশ্য অনেক সিকিউরিটিজ হাউজও এই নতুন পদ্ধতি লেনদেন সুবিধা জানেন, এমনটিও নয়। ফলে বিনিয়োগকারীদের এই নতুন পদ্ধতিতে লেনদেন করার মত আগ্রহী করতে পাচ্ছেন না। শেয়ার ক্রয়বিক্রয়ে ক্ষেত্রে যথেষ্ট জ্ঞানের অভাবে নতুন পদ্ধতি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। তাই গত এক মাসে লেনদেন ছিল চরম ভাটা। তাই বিনিয়োগকারীরা এই লেনদেন ভাটা থেকে বের হবার পথ খুজছেন বলেও জানান তারা।
তারা আরও জানান, অটোমোটেড ট্রেডিং প্লাটফর্ম চালু হয়েছে ১১ ডিসেম্বর থেকে। এই পদ্ধতি সবার কাছে নতুন। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য এ পদ্ধতি পুরোপুরি জেনে, বুঝে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে করতে পরামর্শ দেন। কারণ নতুন পদ্ধতিতে ব্যাপক সুবিধা রয়েছে এটা সত্যি। তাই বলে যে অসুবিধা নেই এমনটি নয়। তাই জেনে বুঝে সতর্কভাবে না থাকলে নিজের বিনিয়োগ আরো ঝুঁকিতে যাবে। সুতরাং সব বিষয়ে পরিস্কার হয়ে লেনদেন করার ওপরে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি গুজবে কান না দিয়ে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন। তাদের মতে, সামনের দিন ভাল আসবে। তবে ধৈর্য ধরে লেনদেন করতে হবে। আর স্বল্পমেয়াদি দূর করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে বলে জানান তারা। লেনদেন কমার একই চিত্র সিএসইতেও লক্ষ্য করা গেছে।
তারা বলেন, এই সতের কাযদিবসে ডিএসই’র সূচক বাড়লেও সিএসই’তে সূচক কমেছে। এ সময়ে ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ২৫ পয়েন্ট। এবং সিএসইতে সূচক কমেছে ৫৯ পয়েন্ট। আর এ সময়ে ডিএসই ও সিএসই গড় লেনদেন যথাক্রমে ২৪৯ কোটি ও ৩২ কোটি টাকা।
লেনদেন কমা প্রসঙ্গে ডিএসই’র এমডি স্বপন কুমার বালা জানান, নতুন ট্রেডিং প্লাটফর্মে শেয়ারবাজারের লেনদেন কমেছে। কারণ এখনও অনেকেই এই নতুন ট্রেডিং প্লাটফর্মে লেনদেনের সঙ্গে পরিচিত নয়। একেবারেই নতুন প্লাটফর্ম বিধায় লেনদেন কম। তবে এই অবস্থা বেশি দিন থাববে না। ভবিষ্যতে এই লেনদেন বাড়বে। এবং এপ্রিলের মধ্যেই নতুন ট্রেডিং প্লাটফর্মে লেনদেন সুবিধা আমরা পাব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে, গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবেসে সূূচক হয়েছিল ৪৯৬৮ পয়েন্ট। কিন্তু এর আগের সপ্তাহের সর্বশেষ কার্যদিবেসে সূূচক ছিল ৪৯৪১ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র সূচক বেড়েছে ২৭ পয়েন্ট। এদিকে, এ সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ২৪৯ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহের গড় লেনদেন ছিল ২৪০ কোটি টাকা। এরও আগের সপ্তাহে গড় লেদেন হয়েছে ২২৪ কোটি টাকা।
পাশাপাশি সিএসইতে গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবেসে সূূচক হয়েছে ৯২২৪ পয়েন্ট। কিন্তু এর আগের সপ্তাহের সর্বশেষ কার্যদিবেসে সূূচক ছিল ৯১৬৫ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। এদিকে গত সপ্তাহে সিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ২৮ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।