আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের অবৈধ অস্ত্র গুলো পুলিশের বৈধ অস্ত্র দিয়ে পাহাড়া দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু তালেব।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ৫ জানুয়ারীর পর থেকে খাগড়াছড়ি একটি নিরাপত্তাহীনতা জেলায় পরিণত হয়েছে। বিএনপির শান্তপূর্ণ কর্মসূচীতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে শতাধিক নেতাকর্মীকে গুরুত্বর আহত ও পরিবর্তিতে মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানী করা হচ্ছে। আর মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে এখন ঘর ছাড়া জেলার বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ। পুলিশ পাহাড়াই ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডাররা বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরবাড়িতে গিয়ে হামলা করছে আর পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো বলেন, ৫ই জানুয়ারীর পর থেকে অদ্যবধি জেলা সদরের ভাইবোনছড়া, শালবন, কলেজ গেইট এবং মহালছড়ি উপজেলায় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডাররা। জেলায় শান্তিপূর্ণ ভাবে অবরোধ পালিত হলেও আওয়ামী লীগ নেতাদের উস্কানীতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডাররা চাঁদের গাড়ীতে করে ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে শহরে মহড়া দিচ্ছে। এতে করে সাধারণ জনগণের মনে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। আর এতে সহায়তা করছে পুলিশ প্রশাসন। চাকুরীচ্যুত, বদলী ও হয়রানির ভয়ে পুলিশ এখন দলীয় বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র নিয়ে ক্যাডারদের মহড়ায় পুলিশ বৈধ অস্ত্র দিয়ে পাহাড়া দিচ্ছে।

তিনি জনগণের বাহিনী পুলিশকে দলীয়করণ থেকে বের হয়ে সাধারণ মানুষের কাতরে এসে জন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

উল্লেখ্য, ৫ই জানুয়ারী বিএনপি’র গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে কালো পতাকা মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ২০জন আহত হয়। এঘটনায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।