লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ২০ দলীয় অবরোধের ৪র্থদিনে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হলেন যুবলীগ নেতা মো. ইউছুফ আলী (৩৫)। 

এ ঘটনায় নিহতের এক বড় ভাই সামান্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনার জেরে উত্তেজিত যুবলীগ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইটি মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ ও চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর চালায়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রামগতি লক্ষ্মীপুর সড়কের কমলনগরের হাফেজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় সাবেক এমপি আশরাফ উদ্দিন নিজানের বাড়ির উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১১ টার দিকে বিক্ষুদ্ধ যুবলীগকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা,ভাংচুরসহ দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।

নিহত ইউছুফ নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডার চর এলাকার আবদুল হাসিমের ছেলে। এবং আন্ডার চর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

শুক্রবার (০৯জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে; ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

নিহতের বড় ভাই আবদুল মতিন ও শুক্কুর মাঝি জানান, কমলনগরের হাজিরহাট আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একটি সালিশ বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তারা তিন ভাই একই মোটরসাইকেল যোগে পার্শ্ববর্তী নোয়াখালীর আন্ডার চরে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। ছোট ভাই ইউছুফ মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে রাস্তার ওপর গাছের গুঁড়ি দেখে মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে আনলে পিছন থেকে কে বা কারা লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমরা তিন ভাই রাস্তার পাশের গাছের ওপর সিটকে পড়ি। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে ছোট ভাই ইউছুফের মৃত্যু হয়। 

পথচারীদের কাছ থেকে জানা যায়, রাস্তার ওপর ছোট দুইটি গাছের গুঁড়ি ছিলো। এর আগে ওই গাছের গুঁড়ির সাথে ধাক্কা লেগে একটি অটোরিকশা উল্টে পড়ে এক যাত্রী আহত হন। তবে এসময় অবরোধকারী কাউকে রাস্তায় দেখা যায়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, রাস্তায় গাছের গুঁড়ি কিংবা পিকেটার কিছুই ছিলো না। ঘন কুয়াশার কারণে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে সিটকে পড়তে পারে। 

কমলনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কবির আহাম্মদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ছোট দুইটি গাছের গুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কি নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়েছে এবং মৃত্যুটি দুর্ঘটনা নাকি অবরোধকারীদের হামলায় হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।