সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই বনদস্যু নিহত
সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের মরা পশুর ফরেস্ট ক্যাম্পের পূর্ব পাশে সীমানার খাল এলাকায় আজ শুক্রবার সকালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৮) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু এনামুল হাওলাদার ওরফে দারোগা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড সগীর হাওলাদার (৩০) ও অজ্ঞাত (৩৭) নামে দুই বনদস্যু নিহত হয়েছে। এসময় র্যাব বনদস্যুদের ব্যবহৃত ১২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধ চলে।
উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সাতটি একনলা বন্দুক, চারটি ওয়ান শুটারগান এবং একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং ৫০টি বিভিন্ন ধরনের গুলি।
র্যাব-৮ এর উপঅধিনায়ক মেজর আদনান কবির ঘটনাস্থল থেকে জানান, দারোগা বাহিনী দলকে সংগঠিত করে ৮-১০ জন সদস্যকে নিয়ে চাঁদপাই রেঞ্জের মরা পশুর ফরেস্ট ক্যাম্পের পূর্ব পাশে সীমানার খাল এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযানে যান। বনদস্যুরা তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবের ওপর গুলি ছোড়ে। এসময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘন্টা বনদস্যুদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ চলে। এক পর্যায়ে দস্যুরা সুন্দরবনে পালিয়ে গেলে র্যাব সদস্যরা সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বনদস্যু সগীর ও তার এক সহযোগীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। এসময় তাদের ব্যবহৃত ১২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধের পর নদীতে মাছ ধরা জেলেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত দুজনের মধ্যে বনদস্যু সগীরকে শনাক্ত করে।
প্রসঙ্গত, এরআগে গত বছরের ১১ নভেম্বর বনদস্যু দারোগা বাহিনীর প্রধান এনামুল হাওলাদার ওরফে দারোগা র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।