ঝালকাঠি পৌরসভা চত্বরে মেয়র ও বিরোধীয় ১০ কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের পর নরসিংদী পৌর মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ডের মত জীবনের নিরাপত্তাহীনতার আশংকা প্রকাশ করেন ঝালকাঠি পৌর মেয়র আফজাল হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঝালকাঠি পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। বুধবার ঝালকাঠি পৌরসভায় হামলা করে মেয়রের ভাইসহ ছয়জনকে আহত করার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়র আফজাল হোসেন বলেন, ২০১১ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরাজিত একজন প্রার্থী একজন প্রভাবশালী রাজনীতিকের সহযোগিতায় আমাকে মেয়র পদ থেকে সরানোর জন্য নানা অপচেষ্টা করছেন। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি ২০০৭ সালে জরুরী অবস্থার মধ্যে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার চেষ্টা করেছিল। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে তখন শেখ হাসিনার জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিলসহ কর্মসূচী পালন করেছিলাম। 

মেয়র আরও বলেন প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় যে কোন সময়  নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেনের মত আমাকেও হত্যা করা হতে পারে। একমাত্র  প্রধানমন্ত্রী-ই আমাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিতে পারেন। 

উল্লেখ্য অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং আত্মীয়করণের অভিযোগে ঝালকাঠি পৌরসভার দশজন কাউন্সিলরের সাথে মেয়র আফজাল হোসেনের গত দুই বছর যাবত বিরোধ চলে আসছে। ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে কাউন্সিলররা মেয়রের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। কাউন্সিলরদের অভিযোগে তদন্ত করে মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় আফজাল হোসেনকে মেয়রের পদ থেকে গত ১ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মেয়রের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাই কোর্ট। গত ১৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখায় আফজাল হোসেনই ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।