আরএমও'র খেয়াল খুশীমতো চিকিৎসা সেবা
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও তালিবুর ইসলাম যোগদান করার পর থেকেই নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ছুটি বিহীন বাহিরে অবস্থানসহ রোগীদের নামে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে খাদ্যের টাকা উত্তোলণ করে পকেটস্থ করার অভিযোগ উঠেছে।
ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাবাসী। বর্তমানে দায়িত্বরত আরএমও তালিবুর ইসলাম জরুরী বিভাগে দায়িত্বে থেকেও মনগড়া ভাবে কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে দিনের পর দিন বাহিরে অবস্থান করে আসছেন।
সম্প্রতি পথ্য তালিকা সুত্রে জানা গেছে, ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর রোগীর তালিকায় অফিসের কর্মরত সুইপার বিশ্বনাথ ও সুইপার সংকুরী নাথের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানায়, ওই কর্মকর্তা ছুটি ছাড়াই গত ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ও ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাউকে দায়িত না দিয়েই ব্যক্তিগত কাজে বাহিরে অবস্থান করেন। এ কারণে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন জরুরী বিভাগে ভর্তি হতে আসা শত শত রোগী।
তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা গেছে, তালিবুর ইসলাম ২০০৯-১০ইং শিক্ষা বর্ষে চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা কালীন সময়ে হল দখলকে কেন্দ্র করে একধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছিল। তারপরও তিনি ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিক্যাল সার্জন হিসাবে সাদুল্যাপুর হাসপাতালে প্রথম যোগদান করেন।
হাসপাতালে সিনিয়র ডাঃ না থাকায় তিনি দায়িত্ব পায় আরএমও’র। জরুরী বিভাগের দায়িত্ব নিয়েই ক্ষমতার দাপটে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীদের সাথে অসাদআচারণ করে আসছে। ফলে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে আরএমও ডাঃ তালিবুর ইসলাম বলেন, ভাল কিছু করতে গেলে অভিযোগ আসতেই পারে। তবে শিবিরের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আক্তার আলম ডন জানান, তার বাহিরে অবস্থানের বিষয়টি আমার জানা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।