হাতুড়ে ডাক্তারের অপচিকিৎসার শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হত দরিদ্র সকমল হোসেন (৫৮)। 

জানা গেছে, উপজেলার সুবর্ণদহ গ্রামের মৃত আফতার আলী পুত্র সকমল হঠাৎ করে পেটের ব্যাথায় আক্রান্ত  হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে তার চিকিৎসার জন্য স্বজনরা প্রতিবেশি হাতুড়ে ডাক্তার নুরজ্জামানের কাছে গেলে তিনি তাকে চিকিৎসা দেয়। তাতে সকমল সুস্থ্য না হলে তার সুস্থ্যতার জন্য হাতুড়ে ডাক্তার নুরুজ্জামান প্রলোভন দিয়ে গত ২৭ নভেম্বর রংপুর শহরের ডক্টরস কমিউনিটি হসপিটাল লিমিটেডে ভর্তি করান। 

ভর্তির পর হাতুড়ে ডাক্তার নুরজ্জামানের পরামর্শ অনুযায়ী পেটের ডান পার্শ্বে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের খরচ ধরা হয় ৯০ হাজার টাকা। দুই বার পর পর অপারেশনে সকমল সুস্থ না হয়ে অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাড়ি সুবর্ণদহ গ্রামে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। 

সকমলের ভাই লাচু অভিযোগ করে জানান, ডাক্তার নুরজ্জামানের পরামর্শ অনুযায়ী জমাজমি, গাছ-পালা, গরু-ছাগল বিক্রি করে প্রায় দুই লক্ষ লাখ টাকা ব্যয় করেও আমার ভাইয়ের সুচিকিৎসা না হওয়ায় সর্বশান্ত হয়ে সে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে ডাক্তার নুরজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার চিকিৎসা ব্যবস্থা সঠিক ছিল। ক্লিনিকের অপারেশনও সঠিক হয়েছে। পর পর ২ বার অপারেশনের কাটা জায়গায় ইনফেকশন হওয়ায় তার অবস্থা এখন নাজুক।