জেলা পর্যায়ের বই উৎসব অনুষ্ঠানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর কবীর বলেছেন, সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও সময়োপযোগী করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। এদিকে শিক্ষার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আগ্রহও বেড়েই চলেছে। বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের কাছে ৬ষ্ঠ বারের মত বছরের প্রথম নববর্ষের দিনই সম্পূর্ন বিনামূল্যর পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিয়েছে।  যা শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের একটি মাইলফলক। 

জেলা প্রশাসক বলেন, শিক্ষা হচ্ছে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার। শিক্ষা ছাড়া কোনভাবেই দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় জেলা শহর কেন্দ্রের সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “জাতীয় বই উৎসব’১৫ উদ্ধোধন  উপলক্ষে নতুন শিক্ষা বর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ছায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুখলেছুর রহমান আকন্দ, সরকারি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অ্যাড. শামসুল হক, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফুল হক রাজু  প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মোমেন। 

আলোচনা সভা শেষে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের প্রথম দিন নতুন শ্রেণির নতুন বই তুলে দেন প্রধান অতিথি। নতুন বই পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। এদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও গ্রীন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বিতরণ করা হয় । শহরের স্বরুপনগর তাজকেরাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদর উপজেলা পর্যায়ের বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। জেলার অনান্য উপজেলাতেও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপুল আনন্দ উদ্দীপনার সাথে উৎসবটি পালন করা হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর জানায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে সমগ্র জেলায প্রাথমিক স্তরে সম্পূর্ন চাহিদা মোতাবেক মোট ৫টি উপজেলার ৮৬৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৩৩০০০ ক্ষুদে শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম চুড়ান্ত হয়েছে। সদরে দেওয়া হবে ৩২০৪০০ বই। 

এছাড়া শিবগজ্ঞে ৩৭৩৩৫০, গোমস্তাপুরে১৭১৬০০,নাচোরে ৯৩৪৫০ ও ভোলাহাটে ৭৬৯৫০ কপি বই যত দ্রুত সম্ভব ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে দেওয়া হবে।

জেলা মাধ্যমিক অফিস সুত্র জানায় ,এই স্তরে জেলায় ১১১৫৪৭৮ ও মাদ্রাসার দাখিল, ভোকেশনাল স্তরেও প্রয়োজন অনুযায়ী আয়োজন করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সরকারি ও জনপ্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা এই উৎসবে অংশ নেবেন।