স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : এরশাদ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দুত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘আজ লাখো মানুষের উপস্থিতি কী প্রমাণ করে? জাতীয় পার্টি আবার জেগে উঠেছে। জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় যেতে প্রস্তুত।’ ‘আমি ক্ষমতা চাইনি, আমার ওপর ক্ষমতা গ্রহণের দায়িত্ব পড়েছিল।’
জাতীয় পার্টির ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক এই সেনা শাসক বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন- “এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম”। এরপর আমরা যুদ্ধ করি। নয় মাস পর দেশে স্বাধীন হয়। এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। সেদিন এখানে বিজয়কেতন উড়েছিল। তখন মানুষের আশা ছিল অনেক। কিন্তু মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আজ আমি এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩ বছর পর ঘোষণা করছি, আমরা ক্ষমতায় এসে মানুষের প্রত্যাশা করব।’
এরশাদ বলেন, ‘স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। কিন্তু কোথায় সেই গণতন্ত্র? স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ ও শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠা। কিন্তু কোথায় সেই সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ ও শিক্ষাঙ্গন? অতীতের কোনো সরকার স্বাধীনতার সেই স্বপ্নপূরণ করতে পারে নাই।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপির সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহিলা পার্টির সভানেত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী প্রমুখ।
এর আগে জাতীয় পার্টির আজকের মহাসমাবেশ থেকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা এবং দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদকে ‘পল্লীমাতা’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মহাসমাবেশে জাতীয় পার্টির উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী বলেন, ‘আজ থেকে আমরা রওশন এরশাদের নাম বলার আগে “পল্লীমাতা” বলব। এরশাদ আমাদের রাজনৈতিক পিতা এবং রওশন আমাদের রাজনৈতিক মাতা।’
সামাবেশে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘দলের বিভক্তির কারণে অনেক কর্মী বুঝতে পারেন না, কোথায় যাবেন। ফলে লাখ লাখ কর্মী বিভক্ত হয়েছেন। আমরা আর বিভক্তি চাই না। এক পার্টি দেখতে চাই। আমি উদাত্ত আহ্বান জানাব, আসুন আমরা মিলেমিশে কাজ করি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দল ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু প্রতিটি নির্বাচনে আমাদের দলে বিভক্তি এসেছে। ৯১-এ জাতীয় নির্বাচনের সময় আমরা জেলে ছিলাম। ৯৬-এ আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান জেলে ছিলেন। ২০১৪ সালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি নির্বাচন করেছিলাম।’
রওশন আরও বলেন, ‘মানুষের ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে, তা শুধরে আমাদের কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা করতে হবে। নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।