কুড়িগ্রামের উলিপুরে সরকারি চাল ক্রয়ে দুর্নীতি
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা সরকারি চাল ক্রয় কেন্দ্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে চাতাল মালিকরা স্থানীয়ভাবে চাল তৈরি না করে দিনাজপুর থেকে নিম্নমানের চাল কমদামে কিনে এনে গুদামে দিয়ে সরকারি মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে স্থানীয় কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়েছে চাতাল শ্রমিকরা।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলা খাদ্য বিভাগের মাধ্যমে ৮৫৮ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে । সরকারের ত্রুয় নিতিমালা অনুযায়ী ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চলতি মৌসুমে উপজেলা খাদ্য বিভাগ ৮৫ জন মিল মালিকের সাথে চাতালের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী চাল ক্রয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় খাদ্য ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে ধান কিনে চাল তৈরি না করে একটি সিন্ডিকেট মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাসহ গুদাম রক্ষককে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে সুদূর দিনাজপুর থেকে চাল এনে প্রকাশ্যে উলিপুর খাদ্য গুদামে ঢুকাচ্ছে। এ কারণে চুক্তিবদ্ধ মিলারদের অধিকাংশ চাতাল পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় সহস্রাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে , স্থানীয় বাজারে ধান ক্রয় না করায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য না পেয়ে মারত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উলিপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আবেদ আলী যোগদানের পর থেকে মিল মালিকদের সাথে গোপন চুক্তিতে নির্বিঘ্নে দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিম্নমানের চাল কিনে এনে বিভিন্ন সময়ের ক্রয় অভিযান দেখায়ে গুদামে ঢুকাচ্ছে। এ দুর্নীতির সাথে জেলা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সরাসরি জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা ও আলহাজ্ব আব্দুল মালেক দিনাজপুর থেকে ট্রাকে এনে গুদামে ঢোকানোর সময় তাদের এ দুর্নীতির ঘটনা ফাঁস হয়।
মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে গুদাম রক্ষক আবেদ আলী জানান, দিনাজপুরের চাল ভাল জন্য নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এস এম সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাহির থেকে চাল এনে গুদামে ঢোকানোর কোন সুযোগ নেই, যদি কেউ এমন কাজ করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।