ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেলেমাঠ এলাকা থেকে পুলিশ জোর পূর্বক স্ত্রী অপহরণের সময় স্বামী আব্দুর রহিম সিদ্দিকীকে আটক করেছে। পেশায় ঠিকাদার আব্দুর রহিম চৌগাছা উপজেলার স্বরুপদা গ্রামের আবু সিদ্দিকীর ছেলে। 

মহেশপুর থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব রায় জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে একটি মাইক্রোবাস যোগে আব্দুর রহিম তার স্ত্রী ফিরোজা খাতুনকে দুই সন্তানসহ অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল।

তিনি আরো জানান, এ সময় ফিরোজার চিৎকারে পথচারী ও টহল পুলিশ পিছু ধাওয়া করে মাইক্রোবাস সহ আব্দুর রহিম ও তার গাড়ি চালককে আটক করে।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন জানান, গত জুন মাসে দাম্পত্য কলহের কারণে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারী ফিরোজা খাতুন তার স্বামীকে তালাক দেন।

তিনি আরো জানান, স্বামীর পীড়াপীড়ি ও দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে ফিরোজা খাতুন তালাকনামা প্রত্যাহার করে আবারো স্বামীর ঘরে ফিরে আসেন। কিন্তু স্বামী আব্দুর রহিম স্ত্রী ফিরোজাকে মেনে নিতে পারে না। বুধবার ভোরে ফিরোজা তার দুই সন্তান রুপান্তি (১২) ও লিংকন (৩) কে নিয়ে বাগেরহাট থেকে ট্রেনযোগে চুয়াডাঙ্গায় এসে পৌছায়।  বুধবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন থেকে স্বামী আব্দুর রহিম স্ত্রী ও দুই সন্তানকে মাইক্রোবাসে তুলে ঘুরে বেড়ানোর নাম করে অজানা স্থানে নিয়ে যাচ্ছিল।

মহেশপুর থানায় আটক ফিরোজা খাতুন জানান, মহেশপুর উপজেলার বেলেমাঠ নামক স্থানে পৌছালে মাইক্রোর মধ্যে স্বামী তার গলার উপর পা তুলে দিয়ে বুকের উপর চেপে বসে। এ সময় তিনি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে পথচারী ও নিকটে উপস্থিত টহল পুলিশ এসে ফিরোজা বেগমকে উদ্ধার ও স্বামী আব্দুর রহিমকে আটক করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারী ফিরোজা খাতুন বাগেরহাট জেলার রণবিজয়পুর গ্রামের শেখ আত্তাপ উদ্দীনের মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই তিনি সেখানে কর্মরত আছেন। 

মহেশপুর থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব রায় জানান, বিষয়ে এখনো কোন মামলা হয়নি, তবে প্রক্রিয়াধীন আছে।