লালমনিরহাটে তেল চুরির ঘটনায় চালক ও পরিচালক বরখাস্ত
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ট্রেনের তেল চুরি করে বিক্রির প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা লালমনিরহাট হতে বুড়িমারী গামী একটি ট্রেন আটকিয়ে দেয়। এ সময় ওই ট্রেনের চালক ও পরিচালককে হাতীবান্ধা স্টেশন মাস্টারের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় বুধবার ওই ট্রেনের চালক রশিদুল ইসলাম মানিক ও পরিচালক মইনুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ট্রেনের যাত্রীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে জেলার কাকিনা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকে। এ সময় কয়েকজন যাত্রী ইঞ্জিনের কাছে গিয়ে দেখতে পায় চালক রাশেদুল ইসলাম মানিক ও পরিচালক মইনুল হকের উপস্থিতিতে ওই ট্রেনের তেল চুরি করা হচ্ছে। এ সময় কামরুল ইসলাম নামে এক কলেজ ছাত্র ছবি তুলতে গেলে তার মোলাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধোর করা হয়। পরে খবরটি সাধারণ যাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পরলে পার্শ্ববর্তী হাতীবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষুপ্ত জনতা ট্রেনটি আটকিয়ে দেয় এবং চালক ও পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় তারা পরিচালক ও চালককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে রেলওয়ের পরিবহণ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান অভিযুক্ত পরিচালক ও চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে রাত ১১ টার দিকে ট্রেনটি ছেড়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
এদিকে তেল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ট্রেনের চালক রশিদুল ইসলাম মানিক ও পরিচালক মইনুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামি ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে যান্ত্রিক কর্মকর্তা রেজাউল করিম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।